জাতীয় সংসদ ভবনে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠকে নীতিমালাটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, “এখন লবণ চাষের ক্ষেত্রে দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে উপকূলীয় জেলাগুলোর অনেকগুলোয় ট্রাডিশনাল সিস্টেমে হচ্ছে, সেটার একটা মডিফিকেশন দরকার। মাতারবাড়ি, কক্সবাজার, পায়রাসহ বেশকিছু জায়গা ডেভেলপমেন্ট কাজে নিয়েছি। সেজন্য নতুন নতুন জায়গায় উদ্বোধন করা,উদ্ভাবন করা এবং নতুন টেকনোলজির মাধ্যমে আরও প্রোডাক্টটিভিটি ইফেকক্টিভ এবং বড় করার জন্য নীতিমালা নেওয়া হয়েছে।”
২০২০-২৫ মেয়াদী এই নীতিমালা বাস্তবায়ন করলে লবণ উৎপাদনের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, “ঈদুল আজহার সময় চামড়াগুলো যেন সংরক্ষণ করতে পারি সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণের ব্যবস্থা করতে হবে। গুণগত মান নিশ্চিত, আয়োডিন ঘাটতিজনিত রোগ প্রতিরোধে ভোজ্য লবণে আয়োডিনের পরিমাণ নিশ্চিত করতে হবে।
“আপদকালীন সময়ের জন্য বাফার স্টক রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। সেজন্য লবণ শিল্প জরিপ করতে হবে। তার ফলের ভিত্তিতে পদক্ষেপগুলো নিতে হবে।”
খনিজ কর্পোরেশন আইন অনুমোদন
বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, “এটা ১৯৮৬ সালের একটি অর্ডিনেন্স দিয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছিল, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের প্রেক্ষিতে এটাকে আইনে রূপান্তরিত করা হয়েছে।
“এই আইনে ৩৪টি ধারা রয়েছে। এর মূল কথা হলো যে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান থাকবে। সেই প্রতিষ্ঠানটা বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজ সম্পদ কর্পোরেশন হিসেবে নামকরণ করা হবে। এটার একটি অথরাইজড ক্যাপিটাল থাকবে ৫ হাজার কোটি টাকা। আর পেইডআপ ক্যাপিটাল থাকবে দুইশ কোটি টাকা।”
তিনি বলেন, সরকার প্রয়োজন বোধে এই অথরাইজড ও পেইডআপ ক্যাপিটাল পরবর্তীতে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে পরিবর্তন করতে পারবে, যদি সরকার মনে করে প্রয়োজন।
“এখন হয়ত ৫ হাজার কোটি টাকা অনেক মনে হচ্ছে, কিন্তু ৫ বছর পরে হয়ত মনে হবে ১০ হাজার কোটি টাকা রাখতে হবে। সেটা বিধির মধ্যে দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে আইনে আর হাত দিতে না হয়।”
কর্পোরেশনের পরিচালনা পর্ষদে একজন চেয়ারম্যান ও আটজন পরিচালক থাকবে। চেয়ারম্যান হবেন অতিরিক্ত সচিব বা ওই পদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তা।
“এটা একটি টেকনিক্যাল বিষয়, তাই যদি তেমন কোনো ভালো ব্যক্তি পাওয়া গেলে তাকেও সরকার নিয়োগ দিতে পারবেন,” বলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে বৈষম্য বিরোধী আইন ২০২২ এর খসড়াও নীতিগত চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
তিনি বলেন, “এই আইনের অধীনে একটা মনিটরিং কমিটি গঠন করা হবে এবং সেই কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে থাকবে জাতীয় বা জেলা লেভেল বা যে লেভেল পর্যন্ত সরকার চায়। তারা মনিটর করবেন কোথাও হিউম্যান রা্ইটসের কোনো ভায়োলেশন হচ্ছে কি না “