নুড়ি পাথর, সিলিকা বালুর অবৈধ উত্তোলন ঠেকাতে ডিসিদের তৎপরতা চায় সংসদীয় কমিটি

নুড়ি পাথর ও সিলিকা বালুর মত খনিজ সম্পদের অবৈধ উত্তোলন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2022, 05:54 PM
Updated : 13 Jan 2022, 05:54 PM

বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দেশে খনিজ সম্পদের মজুদ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

বৈঠকে জানানো হয়, দেশে বর্তমানে সিলেট, সুনামগঞ্জ, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও পঞ্চগড়ে দুই হাজার মেট্রিক টনের মত নুড়ি পাথর রয়েছে। এসব পাথর কোয়ারি ইজারা দিয়ে সরকার রাজস্ব আদায় করছে।

সিলিকা বালু আছে তিন হাজার মেট্রিক টনের মত। এখান থেকেও সরকার ইজারার মাধ্যমে রাজস্ব পাচ্ছে।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আশয়া খান সাংবাদিকদের বলেন, “নুড়ি পাথর, চুনা পাথর, সিলিকা বালু এসব খনিজ সম্পদের একটা অংশ অবৈধভাবেও উত্তোলন করা হচ্ছে। আমাদের মন্ত্রণালয়ের এসব জায়গা পাহারা দিয়ে রাখার মত জনবলও নেই।

“এজন্য কমিটি স্থানীয় জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এসব সম্পদের অবৈধ উত্তোলন ঠেকাতে ব্যবস্থা নিতে বলেছে। এসব সম্পদের অবৈধ উত্তোলন যাতে না হয়, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিতে বলেছি। এছাড়া অবৈধভাবে উত্তোলনের সময় পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এটা যাতে না তহয় সেজন্য আমরা নির্দেশনা দিয়েছি।”

মন্ত্রণালয় কমিটিকে জানায়, দেশে এখন জয়পুরহাট ও নওগাঁয় চুনা পাথরের মজুদ রয়েছে। এই দু্ই জায়গায় সম্ভাব্য মজুদের পরিমাণ ৩৭০ মেট্রিক টন।

১৯৭০ ও ৮০ এর দশকে ভূগর্ভস্থ খনি নির্মাণের মাধ্যমে জয়পুরহাট চুনাপাথর খনি ও সিমেন্ট ওয়ার্কস প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে অর্থায়ন না পাওয়ায় এবং তাপমাত্রা ও ভূগর্ভস্থ পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জের কারণে ওই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি।

মন্ত্রণালয় জানায়, চট্টগ্রামের পটিয়া এবং শেরপুর জেলার বালিঝুড়িতে সিলিকা বালুর সন্ধান পাওয়া গেছে। বড়পুকুরিয়া ও মধ্যপাড়ায় ভূগর্ভস্থ সিলিকা বালুর মজুদ রয়েছে।

আমদআনি করা ক্রুড অয়েল ও পরিশোধিত জ্বালানি তেলের নিরাপদ খালাসের জন্য পাইপ লাইন নির্মাণ প্রকল্প নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়।

চায়না এক্সিম ব্যাংকের সহায়তায় এই প্রকল্প এ বছরে জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা। প্রকল্পের মূল কাজের ৭০ ভাগ শেষ হয়েছে বলে মন্ত্রণালয় বৈঠকে জানিয়েছে। অফশোর ও অনশোর মিলিয়ে এই পাইপ লাইনের দৈর্ঘ্য ২২০ কিলোমিটার।

কমিটির সভাপতি ওয়াসিকা আয়শা বলেন, “প্রকল্প শেষ হতে একটু সময় লাগবে হয়ত। জুনে শেষ হওয়ার কথা সেটা অগাস্টে শেষ হবে।”

ওয়াসিকা আয়শার সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, খালেদা খানম এবং নার্গিস রহমান অংশ নেন।