বুধবার সরকারি ক্রয় এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এক ডলারের বিনিময় হার ৮৬ টাকা। তবে খোলাবাজারে সর্বোচ্চ ৯০ টাকাতেও লেনদেন হচ্ছে ডলার।
চাহিদা বেশি থাকায় বেশ কিছু দিন থেকে ডলারের দাম চড়া। গত কয়েক মাসে ডলারের দাম এক নাগাড়ে বেড়েই যাচ্ছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে একটু একটু করে দর বাড়ছে।
২০২০ সালের ২৭ অক্টোবর আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলার বিক্রি হয়েছিল ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায়। ২০২১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তা লেনদেন হয় ৮৫ টাকা ৩৫ পয়সায়। এক মাসের ব্যবধানে ২৭ অক্টোবর তা আরও বেড়ে ৮৫ টাকা ৬৫ পয়সা হয়। এখন তা ৮৬ টাকায় পৌঁছেছে।
বরাবরই আন্তঃব্যাংক বাজারের চেয়ে খোলাবাজারে ডলারের দাম বেশি থাকে।
বুধবার অর্থমন্ত্রী এ বিষয়ে বলেন, কার্ব মার্কেটের সঙ্গে আমাদের ডলারের দামে কিছুটা পার্থক্য আছে সেটা স্বীকার করছি।
“মূল্যস্ফীতির পরিমাণ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমরা বাইরে থেকে মালামাল কিনি দরের কারণে সেই মালামালের দামটা বাড়ে। যেহেতু রপ্তানি বাড়ছে, রপ্তানি করতে গিয়ে আমদানিও বাড়ছে। এসব কারণে কার্ব মার্কেট ও অফিসিয়াল মার্কেটে দামটা উঠানামা করছে।“
এটা সারা বছরই হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা কোনো সমস্যা নয়। আমরা তো এটা ক্যাপিং করে দেইনি। এটা ফ্লেক্সিবল থাকবে। কিন্তু সেটা অনেক বেশি পার্থক্য আমরা দেখতে পাব না। এটা অনেক বেশি উঠানামা করবে না।
“আমাদের মুদ্রানীতি এবং বার্ষিক আর্থিক নীতি অনেক বেশি এলায়েন। সেকারণে আমাদের এখানে বেশি একটা বাড়ার কোনো রকম সম্ভাবনা নেই।“