পিপিপি কর্তৃপক্ষ আইন সংশোধন হচ্ছে

সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ আইন সংশোধন হচ্ছে, যাতে স্পষ্টতই এই কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা কমছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Jan 2022, 01:06 PM
Updated : 6 Jan 2022, 01:06 PM

নতুন আইনে চূড়ান্ত হলে পিপিপি কর্তৃপক্ষকে অর্থ সংশ্লিষ্ট কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন নিতে হবে। প্রবিধান করার ক্ষেত্রেও নিতে হবে অনুমতি। আর পিপিপি কর্তৃপক্ষের কর্মচারীরা সরকারি কর্মচারী হিসেবে বিবেচিত হবেন না।

এমন সব বিধান যুক্ত করে ‘বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (সংশোধন) আইন, ২০২১’র খসড়ার বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, পিপিপি আইনের মধ্যে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।

উন্নয়ন কাজে বেসরকারি খাতকে যুক্ত করতে পিপিপি বাস্তবায়নে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় পিপিপি কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী ভাইস চেয়ারম্যান। এতে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পদে রয়েছেন একজন সচিব।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, পিপিপি কর্তৃপক্ষ আইনের ৪, ৮, ৯, ১০, ১১, ২৩, ২৬, ৩৬, ৩৭, ৪১ ও ৪৫ ধারাগুলো হয়ত প্রতিস্থাপন হবে অথবা বিলুপ্ত হবে। বোর্ড অব গভর্নসের সভায় সব সময় প্রধানমন্ত্রী সভাপতিত্ব করেন। তিনি না থাকলে ভাইস-চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে যেন সভা করা যায়, তেমন বিধান যোগ করা হচ্ছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।

তিনি বলেন, “আগের আইনে পিপিপি কর্মচারীদের সরকারি কর্মচারী হিসেবে ডিক্লেয়ার করা ছিল। কিন্তু এটি তো সংবিধিবদ্ধ একটা অর্গানাইজেশন। সুতরাং তারা সরকারি অর্গানাইজেশন হিসেবে বিবেচিত হবেন না।

“কিছু কিছু বিষয় ছিল যে, ফাইন্যান্সিয়াল বিষয়গুলো তাদের বোর্ডই করবে। কিন্তু সেখানে বলা হয়েছে, যেহেতু সরকার টাকা দিচ্ছে সরকারের কাছ থেকে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে তারা কাজকর্ম করবে।”

বর্তমান আইনে পিপিপি অফিস লেখা রয়েছে, সংশোধিত আইনে তা পিপিপি কর্তৃপক্ষ করা হচ্ছে।

পিপিপি কর্তৃপক্ষ সরকারি গেজেট প্রজ্ঞাপন দিয়ে এই আইনের অধীনে প্রবিধান করতে পারবে বলে বর্তমান আইনে রয়েছে।

সেখানে এখন লেখা হচ্ছে, পিপিপি কর্তৃপক্ষ নিজেরা কোনো প্রবিধান করতে পারবে না। সেটা সরকারের অনুমতি নিয়ে করতে হবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আইনে ‘খুব বেশি’ পরিবর্তন আনা হয়নি।

সংশোধনের কারণে এই প্রতিষ্ঠানের স্বাধীনতা কমছে কি না- প্রশ্ন করা হলে সচিব বলেন, “না, না। কারণ হল প্রজেক্টগুলো প্ল্যানিং কমিশনে যাবে না। সুতরাং একনেকের অনুমোদন, এগুলো কিছু লাগবে না।

“শুধু সিঙ্গেল সোর্সে (কেনাকাটা) থেকে হলে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। আবার টেন্ডারে হলে ক্রয় কমিটিতে যেতে হবে। পিপিপি কর্তৃপক্ষই অনুমোদন দেবে।”