ঋণ শ্রেণিকরণ সুবিধা জুন পর্যন্ত চায় এফবিসিসিআই

ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকদের জন্য ঋণ শ্রেণিকরণ সুবিধা আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Dec 2021, 03:59 PM
Updated : 26 Dec 2021, 03:59 PM

রোববার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠনটির বার্ষিক সাধারণ সভায় এ কথা জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

করোনাভাইরাস মহামারীতে অর্থনৈতিক কার্যক্রম এখনও পুরোপুরি স্বাভাবিক না হওয়ায় এফবিসিসিআই আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এ সুবিধা বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছে বলে সভায় জানান তিনি।

জসিম উদ্দিন বাংলাদেশ ব্যাংককে যত দ্রুত সম্ভব ঋণ শ্রেণিকরণ সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার দাবি জানান।

তার মতে, ঋণ শ্রেণিকরণের মেয়াদ বাড়লে ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্বস্তি আসবে এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার দ্রুত সম্ভব হবে।

ব্যবসায়ীরা জানান, মহামারীর ধাক্কা মোকাবেলায় ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকদের স্বল্প সুদে ঋণ প্রণোদনা দেওয়ার পাশাপাশি ঋণ পুনঃতফসিলে চলমান ঋণের শ্রেণিকরণের মেয়াদও বাড়ানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষ হচ্ছে চলতি ডিসেম্বরে।

মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ব্যবসায়ীরা ঋণের মেয়াদ বাড়ানোর একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। এখন বাস্তবতার নিরিখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিবেচনা করবে।

মহামারীর প্রকোপ কমে যাওয়ায় চলতি বছরের অগাস্টের পর থেকে জনজীবন থেকে সব ধরনের বিধিনিষেধ উঠে গেছে। এরপর থেকে অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি এসেছে রপ্তানি আয়ে। সর্বশেষ নভেম্বরের হিসাবে চলতি অর্থবছরে ২৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে রপ্তানি খাত। কাঁচামালসহ পণ্য আমদানির পরিমাণও বাড়ছে।

এমন পরিস্থিতিতে আবারও ঋণ শ্রেণিকরণে ছাড় দিতে সময় বাড়ানোর সুবিধা চাইছে ব্যবসায়ীদের এ সংগঠন।

মহামারি পরিস্থিতির কারণে স্থগিত থাকা ২০১৯-২০২০ সময়ের বার্ষিক সাধারণ সভাটি রোববার রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় তড়িঘড়ি না করে আরও ধীর স্থিরভাবে নতুন আয়কর আইন প্রণয়নের জন্য এনবিআরকে আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।

“যেহেতু বর্তমানে একটি আয়কর আইন প্রযোজ্য রয়েছে, তাই এফবিসিসিআইসহ সব সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে নতুন আইন প্রণয়ণ করা উচিত।”

সভায় জানানো হয়, উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় কমিটি এবং এর অধীন বিভিন্ন উপ-কমিটি সভায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে এফবিসিসিআই।

এছাড়া ২০২৬ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পলিসি অ্যাডভোকেসির অংশ হিসেবে চারটি কর্মকৌশল হ্যান্ডবুক আকারে প্রণয়ন করা হয়েছে, যা শিগগির সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জসিম উদ্দিন বলেন, একই সঙ্গে খাতভিত্তিক সক্ষমতা বাড়াতে এফবিসিসিআইতে ইনোভেশন সেন্টার স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।

কোভিড মহামারীতে এ সংগঠনকে সত্যিকার অর্থে গবেষণাভিত্তিক সংগঠনে পরিণত করতে খাতভিত্তিক ১৮ জন প্যানেল পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

সভায় সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, সহ সভাপতি এম এ মোমেন, মো. আমিনুল হক শামীম, মো. আমিন হেলালী, সালাহউদ্দীন আলমগীর ও এম. এ. রাজ্জাক খান রাজসহ পরিচালক ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।