মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার: প্রবাসী আয়ে আশা দেখছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকরা

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার খুলে দেওয়ায় কর্মসংস্থানের সঙ্গে প্রবাসী আয় বাড়ার সুযোগ তৈরি হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জনশক্তি রপ্তানিকারকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2021, 10:25 AM
Updated : 20 Dec 2021, 10:25 AM

সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের আয়োজনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে  আশাবাদের কথা তুলে ধরেন রিক্রুটিং এজেন্সি মালিকরা।

জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজ বলেন, “চল্লিশ মাসে নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে বহুল প্রতীক্ষিত মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্ত হল।

“এতে আমরা আশান্বিত যে, বাংলাদেশের প্রচুর কর্মীর কর্মসংস্থানের পাশাপাশি আমাদের প্রবাসী আয় বৃদ্ধি পাবে।”

দীর্ঘ তিন বছর পর বাংলাদেশ থেকে আবারও কর্মী নেওয়ার জন্য রোববার নতুন একটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ মালয়েশিয়া।

সরকার ‘সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করছে’ মন্তব্য করে সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম বলেন, এই গতিকে থামিয়ে দিতে ‘নানা ধরনের ষড়যন্ত্র’ করছে একটি শ্রেণি।

“বৈদেশিক কর্মসংস্থান খাতে যখন নতুন নতুন শ্রমবাজার উন্মুক্ত হচ্ছে, রেমিটেন্স প্রবাহ যখন বাড়ছে, ঠিক তখনই কিছু মানুষ চলমান গতিকে স্থবির করার জন্য নানা রকম গুজব বা মিথ্যাচার করছে। তাদের এসকল গুজব ও মিথ্যাচারের কারনে বিভিন্ন সময়ে শ্রমবাজারে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল।”

অল্প কিছু মানুষের ‘সমালোচনা, গুজব এবং মিথ্যাচার থেকে’ সাধারণ ব্যবসায়ীসহ অভিবাসী কর্মীদের সচেতন থাকার অনুরোধ জানান সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

দীর্ঘ তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১০ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ থেকে সব খাতে সব ধরনের কর্মী নেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশেষ করে গৃহকর্মী, বাগান, কৃষি, উৎপাদন, পরিষেবা, খনি ও খনন এবং নির্মাণ খাতে বাংলাদেশি কর্মী নেবে দেশটি।

এর আগে মালয়েশিয়া সরকার তাদের পাঁচটি খাতে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সমন্বয়ে ‘জিটুজি প্লাস’ পদ্ধতিতে বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিতে ২০১৬ সালে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেছিল। পাঁচ বছর মেয়াদী ওই চুক্তির আওতায় লোক পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ১০টি জনশক্তি রপ্তানিকারক এজেন্সিকে।

কিন্তু প্রবাসী এক বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশে একটি চক্র ওই ১০ এজেন্সিকে নিয়ে সিন্ডিকেট করে শ্রমিকদের কাছ থেকে দুই বছরে ২০০ কোটি রিঙ্গিত হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

এরপর ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে নতুন করে বাংলাদেশি কর্মীদের আর ভিসা দেয়নি মালয়েশিয়া। তবে আগে যারা ভিসা পেয়েছিলেন, তারা পরেও মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ পান।

সম্মিলিত গণতান্ত্রিক জোটের আয়োজনে এই সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের (আটাব) সভাপতি মনছুর আহমেদ কালাম, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সোবহান ভুঁইয়া হাসান, সংসদ সদস্য মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীসহ উপস্থিত ছিলেন। 

আরও পড়ুন