মহামারী থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের অভিজ্ঞতা ও নীতিমালা নিয়ে রোববার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ‘সম্মানীয় ফেলো’ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সেখানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তাতে বলা হয়, মহামারীর প্রভাবে বাংলাদেশের মানুষের আয় কমেছে, চাকরির বাজার খারাপ হয়েছে। দেশে আয় বৈষম্যও বেড়েছে।
জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “আমরা আমাদের দেশের দারিদ্র বিমোচন লক্ষ্যমাত্রা থেকে পিছিয়ে যাইনি।.. আমরা বৈষম্য লালন করি না, … কমানের চেষ্টা করছি।”
তিনি বলেন, “আমরা অস্বীকার করছি না, বাংলাদেশে দারিদ্র্য কিছু বেড়েছে। তবে করোনাভাইরাসের পরে আমরা এই অঞ্চলের ১০টি রাষ্ট্রের মধ্যে প্রবৃদ্ধিতে সবচেয়ে এগিয়ে ছিলাম।”
সিটিজেন প্লাটফর্ম ফর এসডিজি মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে অলোচনার আয়োজন করে।
সরকারের কাজে প্রতিনিয়িত দেশি-বিদেশি বাধা আসছে মন্তব্য করে পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, “যারা বাধা দিচ্ছে, তাদের এজেন্ডা আছে। আমাদেরও এজেন্ডা আছে, আমাদের এজেন্ডা খুব পরিষ্কার: দারিদ্র্য বিমোচন, জীবনমান উন্নয়ন, বাঙালিকে বাঙালি রূপে বাংলায় প্রতিস্থাপন।”
সরকারের জ্বালানি নীতির কথা তুলে ধরে মান্নান বলেন, জ্বালানি হিসাবে কয়লা থেকে দূরে সরার চেষ্টা করছে সরকার। এজন্য মধ্য মেয়াদে ও দীর্ঘ মেয়াদে কয়লার বিকল্প সন্ধান চলছে।
সোমবার অর্থনীতিবিদ রেহমান সোবহানের বক্তব্য দিয়ে শেষ হবে দুই দিনের এই অলোচনা অনুষ্ঠানে।