কর্মসংস্থান তৈরিতে পদক্ষেপ নিন: ব্যব্সায়ীদের প্রধানমন্ত্রী

কর্মসংস্থান বাড়াতে সরকারের পাশপাশি ব্যবসায়ীদেরও কর্মসূচি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 Dec 2021, 04:27 PM
Updated : 1 Dec 2021, 04:27 PM
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর আয়োজনে ১৬ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা ‘বিজয়ের ৫০ বছর-লাল সবুজের মহোৎসব’ উদ্বোধন করে এই আহ্বান জানান তিনি।

বুধবার সন্ধ্যায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তা উদ্বোধন করেন তিনি।

কর্মসংস্থান বাড়াতে  সরকারি নান উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগ সব সময় ব্যবসাবান্ধব, সেটা আপনারা নিশ্চয়ই এতদিনে উপলব্ধি করতে পেরেছেন।

“কিন্তু আপনাদের কাছেও একটা দাবি থাকবে যে আপনারা ব্যবসা-বাণিজ্য করেন, কিন্তু প্রত্যেকেই তো এদেশেরই কোনো না কোনো গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন, কোথাও না কোথাও কোনো স্কুলে পড়াশোনা করেছেন, আপনারা সেইসব নিজ নিজ এলাকায় হলেও সেখানকার মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারের কর্মসূচির পাশপাশি আপনারাও কিছু কর্মসূচি নেবেন।”

মানুষের অর্থনৈতিক উন্নতি হলে তাতে যে ব্যবসায়ীরাও লাভবান হবেন, তাও দেখিয়ে দেন সরকার প্রধান।

তিনি বলেন, “তাদের আর্থিক সক্ষমতা যাতে বৃদ্ধি পায়, ক্রয় ক্ষমতা যাতে বৃদ্ধি পায়, এই ব্যাপারেও আপনারা কাজ করবেন।

“কারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা যত বেশি বৃদ্ধি পাবে, আপনাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসারও ঘটবে। আপনাদের শিল্প কল কারখানার উৎপাদিত পন্য বাজারজাত করার জন্য বাজার সৃষ্টি হবে, আরো বেশি পণ্য বিক্রি হবে এবং মানুষেরও ভাগ্য পরিবর্তন হবে। আপনাদেরও আয়ও বৃদ্ধি পাবে।”

হাতিরঝিল সংলগ্ন এম্ফিথিয়েটার প্রান্তে মূল অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম, এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দীনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই আয়োজনে সহায়তা করছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন।

বক্তব্যে শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে হত্যার পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃতির চেষ্টার বিষয়গুলো তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর সেই ইতিহাসকে সামনে নিয়ে এসেছে। আজকে বাংলাদেশের মানুষ বিজয়ের মাসে বিজয় উৎসব করতে পারে,মুক্তিযোদ্ধারা মাথা উঁচু করে বলতে পারে তারা মুক্তিযোদ্ধা। শহীদ পরিবারের সদস্যরা বলতে পারে, তারা শহীদ পরিবারের সন্তান।

“আমরা চাই আমাদের দেশের মানুষ স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে,মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হবে,যে আদর্শ নিয়ে জাতির পিতা এদেশ স্বাধীন করেছেন সেই আদর্শ বাস্তবায়ন হবে।”

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রার সোপানে উন্নয়নশীল দেশের মর‌্যাদা পাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, “উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনেক সুযোগ আমরা পাব। সেটা হয়ত আমরা উন্নয়নশীল দেশ না হলে পেতাম না। এখানে হয়ত অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। কিন্তু সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমরা সব সময় প্রস্তুত।”

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “মনে রাখবেন,জাতির পিতা স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন বলেই আজকে অনেকে নিজেদের বাংলাদেশের ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিতে পারছেন। তার আগে বাঙালি সব সময় শোষণ-বঞ্চনার শিকার হওয়ায় কোনো ক্ষেত্রেই কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা ছিল না।

“আজকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে বলেই এই সুযোগটা সকলেই পেয়েছেন। কাজেই সবাই বাংলাদেশকে উন্নত করার জন্য আর বাংলাদেশের মানুষকে দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি দিয়ে একটি উন্নত,সমৃদ্ধ,ক্ষুধা,দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ গড়ার কাজ করে যাবেন।”