বুধবার ২০২০-২১ করবছরে ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।
রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম বলেন, “আগামী ২০২৬ সালে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বের হয়ে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য দক্ষতা বাড়াতে হবে।
“বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পথে বিদেশি বিনিয়োগ পাওয়ার যে সুযোগ রয়েছে তা ব্যবহারের জন্য ব্যবসা সহজীকরণ ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে।”
এর অংশ হিসেবে এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে নেওয়া অগ্রিম কর (এআইটি) প্রত্যাহারের আহবান জানান।
এটি ব্যবসায়ীদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে উল্লেখ করে এই ব্যবসায়ী নেতা বলেন, “বিনিয়োগ বাড়াতে হলে ব্যবসার খরচ কমাতে হবে। এআইটি অবশ্যই ব্যবসার খরচ বাড়ায়।”
দেশে আয়কর দাতার সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে না বাড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে জসিম উদ্দিন বলেন, “আয়কর দাতা বাড়াতে হলে সেবা বাড়াতে হবে এবং ভীতি দূর করতে হবে।”
অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য যার যা আছে তা থেকেই কিছু অংশ কর দেওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, “বর্তমান সরকারের বিগত ১০ বছরে দেশে যে উন্নয়ন দেখা যাচ্ছে তার চালিকা শক্তি হচ্ছে দেশের জনগণ।“
অর্থমন্ত্রী বলেন, “২০০৫-০৬ অর্থবছরে দেশে প্রত্যক্ষ করের আকার ছিল মাত্র ৭ হাজার কোটি টাকা। সেটি এখন ১২ গুণ বেড়ে ৮৫ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।
“ওই অর্থবছরের মোট রাজস্বের পরিমাণ ছিল মাত্র ৩৪ হাজার কোটি টাকা। সেটি এখন সাড়ে ৭ গুণ বেড়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, “এই অসাধারণ অর্জন সম্ভব হয়েছে আপনাদের কারণে।”
অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, “দেশের মানুষ দিন দিন দেশকে কর দিতে উৎসাহিত হচ্ছে। কারণ তারা দেখছে যে পদ্মাসেতুর মতো প্রকল্প হচ্ছে। বড় বড় সড়কগুলো চার লেন হচ্ছে।
“এসব উন্নয়ন দেখে দেশকে কর দিয়ে সহযোগিতা করতে মানুষের মধ্যে আগ্রহ বাড়ছে বলে আমি মনে করি।”