আর কত ভর্তুকি দেব: অর্থমন্ত্রী

জ্বালানি তেলে সরকার ভর্তুকি দিলেও তা সরকারের উপর চাপ হয়ে উঠছে বলে দাবি করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এই কারণেই দাম বাড়াতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Nov 2021, 12:22 PM
Updated : 10 Nov 2021, 01:04 PM

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে তিনি সরাসরিই বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধি ‘পুরোটাই যৌক্তিক’।

মহামারীর কারণে দুই বছরের অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি মাসে এক লাফে ১৫ টাকা (২৩%) বাড়িয়ে দেওয়া হয় ডিজেলের দাম।

এর পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “সরকার আর কত ভর্তুকি দেবে? কিছুটা তো ভোক্তাদের শেয়ার করতেই হবে। সরকারকে আয় করে তারপর ব্যয় করতে হয়।

“যখন দাম কমে আমরা কমাই, যখন বাড়ে আমরা বাড়াই। সরকার যতটা সম্ভব নিজে বহন করে, যখন দেখা যাচ্ছে যে আর পারা যাচ্ছে না, তখন সবাই মিলে বহন করি।”

আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির কারণ দেখিয়ে ডিজেলের দাম রেকর্ড বৃদ্ধি করেছে সরকার। এর ফলে পরিবহনের ভাড়াও বাড়াতে হয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় আরও বেড়ে যাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বিরোধিতা করে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছিলেন, মহামারীর মধ্যে জ্বালানি তেলের দাম যখন তলানিতে নেমেছিল, তখন দেশে না কমিয়ে মুনাফা করার পর এখন দাম বৃদ্ধির যুক্তি গ্রহণযোগ্য নয়।

ডিজেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ানোর পর বাস ভাড়া ২৭ শতাংশ বাড়ানো নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির বরাত দিয়ে একজন সাংবাদিক অর্থমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, বাস পরিচালনায় ৪০ শতাংশ খরচ হয় জ্বালানি বাবদ। সেই ক্ষেত্রে জ্বালানির খরচ ২৩ শতাংশ বৃদ্ধির জন্য ভাড়া কেন বেড়ে গেল ২৭ শতাংশ। অনুপাতের হিসাবে এটা তো ১০ শতাংশ বাড়ার কথা।

উত্তরে মুস্তফা কামাল বলেন, “আগামী বৈঠকে এর উত্তর দেব। উইদাউট এনি বেসিস করেছে কিনা আমি দেখব। একজন নাগরিক হিসাবে, একজন অর্থমন্ত্রী হিসাবে আমি বলছি- আমি খতিয়ে দেখব।”