অন্য কোনো টাকা রেমিটেন্সের নামে দেশে ঢুকছে কি না, তা খতিয়ে দেখার সুপারিশ করেছিল গবেষণা সংস্থা সিপিডি।
বাংলাদেশের বিদেশি অর্থ উপার্জনের বড় খাত প্রবাসী কর্মীদের পাঠানো রেমিটেন্স। এই অর্থ বৈধভাবে পাঠানো উৎসাহিত করতে সরকার ২ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে।
অর্থাৎ প্রবাসীরা ১০০ টাকা দেশে পাঠালে তার সঙ্গে সরকার আরও ২ টাকা যোগ হয়ে মোট ১০২ টাকা দিচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, “কেউ বলে প্রণোদনা পাওয়ার জন্য দেশের টাকা বিদেশে পাচার করে আবার নিয়ে আসা হয়।
“আমি বার বার একটা কথা বোঝাবার চেষ্টা করেছি, দেশে তো বহু খাত আছে, যাদের আমরা ইনসেনটিভ দিয়ে থাকি। মাছ, সবজিতে আমরা ইনসেনটিভ দিই, তাহলে শুধু রেমিটেন্স খাতকে তারা টার্গেট করবে কেন?
সন্দেহ না হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মুস্তফা কামাল বলেন, “যে পরিমাণ জনবল আমাদের বিদেশে আছে, সেই অনুপাতে টাকা আসছে কি না, সেটা দেখতে হবে। এর চেয়ে বেশি আসলে তখন বুঝতে হবে যে এখানে অন্য কিছু হচ্ছে।”
দেশের রিজার্ভের বড় জোগানদাতা রেমিটেন্স গত দুই মাসে কমে গেছে। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, মহামারীর সময়ে বৈধভাবে আসত বলে তা বেড়েছিল, এখন হুন্ডিসহ অন্য মাধ্যমে আবার আসছে বলে তা সরকারের হিসাবে আসছে না।
এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “তিন মাসে এক বিলিয়ন ডলারের মতো কম এসেছে। গত বছর ২৫ বিলিয়নের মতো এসেছিল। এখন যে গতিতে এগুচ্ছে তাতে ২২ থেকে ২৩ বিলিয়নের মতো আসবে বলে মনে হচ্ছে।
“এর মূল কারণ হচ্ছে প্রবাসী ভাই-বোনেরা বিভিন্ন দেশে কর্মরত যারা ছিলেন, তারা কোভিডের সময় দেশে এসে বিভিন্ন কারণে আবার ফেরত যেতে পারেন নাই। এখন আবার যাওয়া শুরু করেছেন। ফলে রেমিটেন্সের বিষয়টি আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে আসবে।”
রেমিটেন্স কমার পেছনে অন্য কোনো কারণ নেই বলে মনে করেন মুস্তফা কামাল।