চা, সাইকেলসহ চার পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা

চলতি অর্থবছর থেকে আরো চারটি পণ্য রপ্তানিতে পাওয়া যাবে সরকারের নগদ অর্থ সাহায়তা।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2021, 04:46 AM
Updated : 21 Sept 2021, 04:46 AM

এই চার পণ্য হল দেশে উত্পাদিত চা, বাইসাইকেল ও বাইসাইকেল এর যন্ত্রাংশ, এমএস স্টিল পণ্য এবং সিমেন্ট শিট।

সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে জারি করা এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে এই চারটি পণ্য রপ্তানির বিপরীতে পাওয়া যাবে ৪ শতাংশ সাহায়তা।

করোনাভাইরাস মাহামারীর মধ্যে রপ্তানিকারকদের উত্সাহিত করতে ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ সাহায়তা বা প্রণোদনা দেওয়া শুরু করে সরকার।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, গত দুই অর্থবছরে যেসব পণ্য রপ্তানির বিপরীতে নগদ অর্থ সাহায়তা দেওয়া হচ্ছিল, চলতি অর্থবছরেও তা বহাল থাকবে। পাশাপাশি নতুন এই চারটি খাত সেই তালিকায় যুক্ত হবে।

পাশাপাশি বিশেষায়িত অঞ্চলের জন্য বিদ্যমান সহায়তার আওতা বাড়ানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চল, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক এবং বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে শতভাগ দেশীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বা টাইপ-সি শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য আগে যে সব সহায়তা ছিল সেগুলো অব্যাহত থাকবে।  

পাশাপাশি এখন থেকে শতভাগ বিদেশি মালিকানাধীন বা টাইপ-এ এবং দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানাধীন বা টাইপ-বি প্রতিষ্ঠানের প্রক্রিয়াজাত কৃষিপণ্য রপ্তানির বিপরীতে ৪ শতাংশ হারে রপ্তানি প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে।  

এছাড়া বিশেষায়িত অঞ্চলের সকল ক্যাটাগরিভুক্ত প্রতিষ্ঠান দেশের বাইরে অন্যান্য পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ১ শতাংশ হারে রপ্তানি প্রণোদনা পাবে।

সফটওয়্যার ও আইটিইএস সেবা রপ্তানির বিপরীতে ব্যক্তি পর্যায়ের ফ্রিল্যান্সাররা ৪ শতাংশ হারে রপ্তানি ভর্তুকি পাবেন।

তবে এ ক্ষেত্রে আবেদনকারী ফ্রিল্যান্সারদের সরকার প্রদত্ত রেজিস্টার্ড ফ্রিল্যান্সার আইডি কার্ড থাকতে হবে।

এর বাইরে ফ্লোট গ্লাস শিট, ওপাল গ্লাসওয়্যার, কাস্ট আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য হাল্কা প্রকৌশল পণ্য খাতের

আওতায় রপ্তানি ভর্তুকির জন্য বিবেচিত হবে।

এছাড়া কম্প্রেসার এবং এইসিএফসি মুক্ত রেফ্রিজারেটর ইলেক্ট্রনিক পণ্য হিসেবে কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্স খাতের আওতায় নগদ অর্থ সাহায়তা পাবে।

সকল খাতে নগদ সহায়তা বা রপ্তানি ভর্তুকি অথবা রপ্তানি প্রণোদনা পাওয়ার জন্য রপ্তানির বিপরীতে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ দেশীয় মূল্য সংযোজন থাকতে হবে বলে সার্কুলারে জানানো হয়েছে।