চিকিৎসক ও আইনজীবীদের নেওয়া টাকার জন্য রশিদ চায় দুদক

চিকিৎসক ও আইনজীবীরা সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে যে অর্থ নেন, তা যথাযথভাবে করের আওতায় আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) সুপারিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2021, 12:12 PM
Updated : 31 August 2021, 12:57 PM

সম্প্রতি দুদকের পক্ষ থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো এক চিঠিতে আইনজীবী ও চিকিৎসকদের আয়ের ওপর কর আরোপ করতে ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশের অধীনে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

দুদক সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার মঙ্গলবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, “আমরা চাইছি যে ডাক্তার এবং আইনজীবী, তারা ক্লায়েন্টদের থেকে যে টাকা গ্রহণ করেন, তাদের সেবার জন্য, এই ক্ষেত্রে যদি তাদেরকে (সেবাগ্রহীতা) রসিদ দেওয়া হয়, অর্থ গ্রহণ করে যদি রসিদ দেওয়া হয়, তাহলে এটি এনবিআরের হিসাবে আসে।

“তখন ট্যাক্স ফাইলটা আপডেট করা সহজ হবে। সরকারের রাজস্ব আয় রাড়বে। এটা কমিশনের একটা অবজারভেশন, এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।”

দেশে প্রায় ৫২ লাখ মানুষের কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) থাকলেও বছর শেষে আয়কর রিটার্ন জমা পড়ে ২১ লাখের মত। যারা রিটার্ন দাখিল করেন, তাদের সবাই আবার কর দেন না। সব মিলিয়ে কর দেন মোট জনসংখ্যার ১ শতাংশের সামান্য বেশি মানুষ।

চিকিৎসকরা তাদের চাকরির বাইরে রোগী দেখে যে আয় করেন, সেজন্য তারা কোনো রশিদ দেন না। আইনজীবীদের ক্ষেত্রেও তাই হয়। ফলে তাদের আয়কর বিবরণীতে প্রকৃত আয়ের তথ্য আসছে কি না, তা বোঝার কোনো উপায় থাকে না।

চিকিৎসক ও আইনজীবীদের মধ্যে কাদের টিআইএন নেই, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্যও এনবিআরের হাতে নেই। ফলে এই বিশেষায়িত পেশাজীবী শ্রেণির কর ফাঁকির অভিযোগ নিযে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা আছে।

২০১৯ সালের এপ্রিলে এনবিআরের তখনকার চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া সিলেটে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, চিকিৎসক ও আইনজীবীদের কাছ থেকে কর আদায় বাড়ানোর উপায় খোঁজা হচ্ছে।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, "এই দুই পেশাজীবীদের আয়ের বিষয়টি এখনো সকলের কাছে স্পষ্ট নয়। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালগুলো তাদের আয়ের তুলনায় কম ট্যাক্স দেওয়ায়, তাদের উপরও ট্যাক্স বাড়ানো যায় কিনা- এর উপায় খোঁজা হচ্ছে।”