ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে স্বয়ংক্রিয় টোল আদায়ে কোরীয় কোম্পানি

দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টোল আদায়ের জন্য একটি কোরীয় কোম্পানিকে কাজ দিচ্ছেন সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 August 2021, 10:31 AM
Updated : 19 August 2021, 10:31 AM

বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে এ কাজ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন পায়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন বৈঠক শেষে বলেন, “স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে এই টোল আদায় করা হবে। গাড়ির সামনের যে উইন্ড স্ক্রিন সেখানে একটা স্টিকার থাকবে।

“গাড়িটি যখন যাবে তখন স্ক্যান করে গাড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে অটোমেটিক টোল আদায় হয়ে যাবে। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ভাঙা পর্যন্ত তিনটি ব্রিজ রয়েছে। সমুদয় টোল একটা সমন্বিত সিস্টেমের মাধ্যমে আদায় হবে।”

তিনি জানান, কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সির অর্থায়নে এই টোল আদায় কার্যক্রম চলবে। দক্ষিণ কোরিয়ায় ৪ হাজার ১১২ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ও ১ হাজার ৩৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের।

রাস্তায় কী পরিমাণ যানবাহন রয়েছে, কোন পথে দিয়ে গেলে সুবিধা হবে এসব তথ্যও তারা দেখাবে। প্রথমে ৫ বছরের জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, পরে চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে।

এদিন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের (দ্বিতীয় পর্যায়) জন্য কেনাকাটার একটি প্রস্তাব পাস হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেডের কাছ থেকে ২০৪ কোটি ৩৩ লাখ ২৫ হাজার টাকায় এই প্রকল্পের সরঞ্জাম কিনবে।

প্রকল্পের আওতায় (তিন পার্বত্য জেলার জন্য) ১০০ ওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ৪০ হাজার সোলার হোম সিস্টেম ও ৩২০ ওয়াট পিক ক্ষমতাসম্পন্ন ২ হাজার ৫০০ সোলার কমিউনিটি সিস্টেম স্থাপন করা হবে।

অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন বলেন, “রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই তিনটি জেলার দুর্গম এলাকায় সোলার সিস্টেমগুলো দেওয়া হবে। স্থানীয়রা উপকৃত হবে। এটা গ্রাহকদের বিনামূল্যেই দেওয়া হবে।”

ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে সৌদি বেসিক ইন্ডাস্ট্রিজ (সাবিক) এর কাছ থেকে দ্বিতীয় লটে ১১৯ কোটি ৮২ লাখ ২ হাজার ৭৬০ টাকায় ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবও এদিন অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি টন সারের দাম পড়েছে

৪৭০ দশমিক ১৬ ডলার।

এছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) এর কাছ থেকে তৃতীয় লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে কমিটি।

১১১ কোটি ১১ লাখ ৪৬ হাজার টাকায় এই সার কিনছে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি)। প্রতি টনের মূল্য পড়ছে ৪৩১ ডলার।