বাংলাদেশ থেকে আম নিতে চায় রাশিয়া

বাংলাদেশের আমের প্রশংসা করে আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে রাশিয়া।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2021, 09:23 AM
Updated : 18 August 2021, 09:23 AM

বাংলাদেশে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দর ভি মান্টিটস্কি বুধবার সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই আগ্রহের কথা জানান।

বৈঠক শেষে কৃষিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “তিনি (রাষ্ট্রদূত) মনে করেন, রাশিয়ায় আম রপ্তানির একটা বিরাট সুযোগ আছে। তিনি নতুন এসেছেন, এই কয়দিনে যে আম খেয়েছেন তা খুবই সুস্বাদু। রাশিয়ায় এটার বিরাট মার্কেট। বাংলাদেশ এটায় গুরুত্ব দিতে পারে, এটা নিয়ে কাজ করা উচিত।”

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে, গতবছর দেশে প্রায় ১৫ লাখ টন আম উৎপাদিত হয়েছে, যার দাম প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

উৎপাদনের পরিমাণের দিক দিয়ে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সপ্তম। তবে রপ্তানিতে অনেক পিছিয়ে।

গতবছর প্রতিবেশী ভারত যেখানে পৌনে ১৪ কোটি ডলারের আম রপ্তানি করেছে, বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ৫০ হাজার ডলারের মত।

কৃষিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাশিয়ার সাথে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি। বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য রাশিয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

 “আমাদের দেশে আমরা তেমন গম উৎপাদন করি না। আমাদের আবহাওয়া গম উৎপাদনের জন্য ভাল না। কিন্তু এখন আমাদের জেনারেশনের ছেলে-মেয়েরা গমের অনেক খাবার খায়। সেজন্য আমরা রাশিয়া থেকে গম আমদানি করি।”

রাশিয়া থেকে সারও আমদানি করা হয় জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ডিএপিপি নামে একটি নতুন সারের ব্যবহার বাংলাদেশে বেড়েছে। আগে যেখানে ৭ লাখ টন ডিএপিপি ব্যবহার হত, এখন চাহিদা বেড়ে ১৪ লাখ টন হয়েছে। রাশিয়া থেকে এ সার কেনার বিষয়েও রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

“রাশিয়ার সঙ্গে একটা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে, সরকার টু সরকার। আমরা ভালো দামে রাশিয়া থেকে ডিএপিপি আনতে পারি কিনা…।”

বাংলাদেশ আগে রাশিয়াতে আলু রপ্তানি করত জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “একটা ব্যাকটেরিয়ার কারণে রাশিয়া সেখানে বিধিনিষেধ দিয়েছে। আমরা উনাকে অনুরোধ করেছি, আমরা যাতে আবার রাশিয়ায় আলু রপ্তানি করতে পারি। তিনি বলছেন গুরুত্ব দিয়ে এটা দেখবেন।”

রাশিয়ার দূতের সঙ্গে বৈঠকে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, “তারা চায় এই সমস্যার সমাধান হোক। এ ব্যাপারেও তারা সহযোগিতা করবে।”

চাল আমদানি করলে কৃষকদের ধানের দাম কম পাওয়ার শঙ্কা আছে কিনা- এমন প্রশ্নে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “কৃষক অনেক বেশি দাম পেয়েছে, দাম পাচ্ছে। দাম একটা বেশি পাচ্ছে এই মুহূর্তে। এত দাম না পেলেও তারা খুশি থাকত। চালের দাম বরং বেশি আছে।”