বর্তমানে চাল আমদানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে এখন ১৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে সিদ্ধ ও আতপ চাল আমদানি করা যাবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে চালের দামের ঊর্ধ্বগতিতে বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড শুল্ক কমানোর পরিপত্র জারি করেছে।
এতে বলা হয়, চাল আমদানিতে শুল্ক ২৫ শতাংশ হতে ১০ শতাংশ এবং শর্ত সাপেক্ষে সমুদয় রেগুলেটরি ডিউটি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল।
তবে এই সুবিধা তিন মাস অর্থাৎ অক্টোবর পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে এনবিআর।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক নীতি) সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দেশের বাজারে প্রধান খাদ্যপণ্য চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি শুল্ক কমানোর জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় আমাদের অনুরোধ করেছে। ওই অনুরোধের প্রেক্ষিতে আমরা এই পরিপত্র জারি করেছি।”
এই সঙ্কটকালে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর চেয়ে ‘মানুষের ক্রয় ক্ষমতা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কিবরিয়া বলেন, “চাল আমদানিতে এই ছাড় তিন মাসের জন্য দেওয়া হয়েছে। এরপর থেকে আগের নিয়মে চলে যাবে।”
এনবিআরের এই সদস্য জানান, এখন বিদেশ থেকে চাল আমদানির ক্ষেত্রে মোট ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ বিভিন্ন ধরনের শুল্ক দিতে হত। এখন থেকে সব মিলিয়ে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে।
এরমধ্যে আমদানি শুল্ক হিসেবে দিতে হবে ১৫ শতাংশ, অগ্রীম কর হিসেবে ৫ শতাংশ এবং অগ্রীম আয়কর হিসেবে দিতে হবে আরও ৫ শতাংশ।
মাসখানেক ধরেই বাজারে চালের দাম বেশি। ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ৫০ টাকা বা এর আশপাশে বিক্রি হচ্ছে মোটা চাল। সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকায়।
বিভিন্ন সময় সরকারি মজুদ কমে যাওয়ার কারণে বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠলেও এবারের পরিস্থিতি ব্যতিক্রম।
কারণ খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী দেশে এখন ১৬ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুদ আছে, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে চালের মজুদ রয়েছে ১৩ লাখ টন।
তার মধ্যে চালের দর বৃদ্ধির জন্য মিল মালিক ও ব্যবসায়ীরা পরস্পরকে দোষ দিয়ে আসছে।