সদ্যসমাপ্ত অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন, যা গতবছরের তুলনায় ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
তার আগের অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরের ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল, যা তার আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ দশমিক ৮৫ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সোমবার প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসীরা ১৯৪ কোটি ৮ লাখ ডলার রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়েছেন, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ বেশি।
মহামারীর মধ্যেই ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে, যা এক মাসের হিসাবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।
বৈধ উপায়ে প্রবাসীরা দেশে টাকা পাঠালে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনার পাওয়ার কারণেই প্রবাসীরা উৎসাহিত হয়ে বেশি রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, মহামারীর শুরুতে রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধি টেকসই হবে না বলে অনেকে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সকল সমালোচনাকে পেছনে ফেলে ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের তুলনায় ৩৬.১০ শতাংশ বেড়ে ২০২০-২০২১ অর্থবছর শেষে দাড়িয়েছে ২৪ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
“প্রবাসী আয়ের এ ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকার জন্য সরকারের প্রবাসী আয় পাঠানোর নিয়ামকানুন সহজ করে দেওয়া, সময়োপযোগী ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনাসহ বিভিন্ন সংস্কারমুখী পদক্ষেপের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে।”
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা এক কোটির বেশি বাংলাদেশির পাঠানো এই অর্থ। দেশের জিডিপিতে সব মিলিয়ে রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মত।
রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে গত অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।
এদিকে প্রবাসীদের পাঠানো এই অর্থের পরিমাণে বড় প্রবৃদ্ধিতে ভর করে বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন ৪৬ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে ।
এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে প্রায় সাড়ে ১১ মাস সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।