ভারত থেকে আসা কয়লা ‘কার্পেটিংয়ের’ জন্য: রামপাল কর্তৃপক্ষ

বাগেরহাটের রামপালে নির্মাণাধীন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভারত থেকে যে কয়লা আসছে তা জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছে এই কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষ।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2021, 12:52 PM
Updated : 3 July 2021, 12:52 PM

এই তিন হাজার ৮০০ টন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণাধীন চারটি কয়লা মজুদাগারের মধ্যে একটির মেঝেতে ঢালাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী বিদ্যুৎ কোম্পানি লিমিটেড, বিআইএফপিসিএল।

এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি হিসেবে কখনই ভারত থেকে কয়লা আনা হবে না বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

সুন্দরবনের অদূরে বাগেরহাটের রামপালে ভারতের এনটিপিসি ও বাংলাদেশের পিডিবির যৌথ উদ্যোগে ১৩০০ মেগাওয়াটের কয়লাভিত্তিক এই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে।

শুক্রবার ভারতের দ্য হিন্দু পত্রিকার এক খবরে বলা হয়, কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জী বন্দরের নেতাজী সুভাষ ডক (এনএসডি) থেকে তিন হাজার ৮০০ টন কয়লার একটি চালান বাংলাদেশে আসছে।

শনিবার বিআইএফপিসিএল এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কলকাতা থেকে যে কয়লা আনা হচ্ছে তা শুধু ‘কোল স্টোকইয়ার্ড’ ফ্লোরে ব্যবহার করা হবে। 

“মৈত্রী বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মিতব্য প্রথম কভার্ড কোল-শেডের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভারত থেকে আমদানি করা কয়লা প্রথম কভার্ড কোল শেডের কার্পেট কয়লা হিসেবে ব্যবহার করা হবে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রে এধরনের চারটি কভার্ড কোল-শেড নির্মাণাধীন রয়েছে।”

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে কয়লা ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়া অথবা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আমদানি করা হবে। ইতোমধ্যে সেজন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, যে প্রক্রিয়া অচিরেই সম্পন্ন হবে।

ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে রামপালে ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পরিবেশ ও প্রতিবেশের জন্য হুমকি তৈরি করবে বলে পরিবেশবাদীরা সতর্ক করে আসছেন।

তবে বাংলাদেশে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সুন্দরবন রক্ষায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে, যাতে পরিবেশের ক্ষতি ন্যূনতম মাত্রায় রাখা হবে।

মোট ২০০ কোটি ডলারের এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ১৬০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি ভারত হেভি ইলেকট্রিক্যালস (বিএইচইএল) এই নির্মাণ কাজ করছে।