প্রণোদনা: পোশাক মালিকদের অপেক্ষা করতে বললেন অর্থমন্ত্রী

প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেওয়া অর্থের কিস্তি পরিশোধে দ্বিতীয় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হবে কিনা তা জানতে ৩০ জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2021, 02:05 PM
Updated : 26 June 2021, 02:05 PM

শনিবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “প্রণোদনার সময় বাড়ানোর বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। যখন সিদ্ধান্ত হবে আপনারা জানবেন।

“জুন ৩০ তারিখ পর্যন্ত সময় আছে। এর মধ্যে দেখা যাক আমরা কী করতে পারি।“

একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এই প্যাকেজ দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “সেই সময়টি নিশ্চয় চলে যাবে। তাদের জন্য কী করা যায়, সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চিন্তাভাবনা করবেন।

“গভর্নর মহোদয়ের সঙ্গে আমি এটা নিয়ে কথা বলেছি। সবাই এটা নিয়ে কাজ করছেন। দেখা যাক কী করা যায়, শেষ পর্যন্ত।”

তৈরি পোশাকসহ রপ্তানিমুখী খাতের কারখানার শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন পরিশোধে প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে নেওয়া ঋণ পরিশোধে ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ পরিশোধের সময় গত ডিসেম্বরে শেষ হয়।

তখন অর্থ পরিশোধে শিল্পমালিকদের অনুরোধে ছয় মাসের জন্য সময় বাড়িয়েছিল সরকার। বর্ধিত সেই মেয়াদের শেষ দিকে এসে আবারও সময় বাড়াতে আবেদন করেছেন ঋণগ্রহিতা শিল্প মালিকরা।

গত বছর প্রথম দফায় লকডাউন ঘোষণার পর ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত তিনমাসে সচল রপ্তানিমুখী শিল্পে শ্রমিকদের বেতন বাবদ ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রণোদনা ঋণ বিতরণ করা হয়।

নামমাত্র সুদে এসব ঋণ ব্যাংকগুলো বিতরণ করে। এ জন্য ব্যাংকগুলোকে ভর্তুকি দিচ্ছে সরকার।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সবেমাত্র রপ্তানি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। অনেক কম মূল্যে ক্রয়াদেশ নিয়ে শিল্পমালিকরা সীমিত পরিসরে কারখানা সচল রেখেছেন।

“এই পরিস্থিতিতে আরেক দফায় যেন অর্থ পরিশোধের সময় দেওয়া হয়, সেজন্য আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।”

শনিবার ক্রয় সংক্রান্ত কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রীর কাছে লকডাউনে অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে জানতে চান এক সাংবাদিক।

তখন তিনি বলেন, “আমরা ভালো কিছুই প্রত্যাশা করি। গতবছর যেভাবে ক্ষতির আশঙ্কা করা হয়েছিল সেভাবে কিন্ত হয়নি। গত বছরও আমরা প্রক্ষেপনগুলো এচিভ করতে পেরেছি।

“সবচেয়ে কঠিন খাত যেটা, রেভিনিও জেনারেশনে ১৭ শতাংশ গ্রোথ হয়েছে। রিজার্ভে গ্রোথ আছে। অনেকে একসময় বললেছিলেন রেমিটেন্স আসবে না। কিন্তু সব কিন্তু সত্য হয়নি।“

দেশের মানুষ দায়বদ্ধতার কারণেই সবকিছু মেনে নিয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ অব্যাহত রেখেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “অসাধারণ কাহিনির মত মনে হবে। এক বছরে ২৫ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এটা এই পর্যন্ত সর্বোচ্চ। আর কখনও হবে কিনা জানি না।“

দেশে ছয় কোটির বেশি মানুষ গরীব হয়ে গেছে বলে বিবিএসের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এক সংবাদিক প্রশ্ন করলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এই ধরনের রিপোর্ট আমার হাতে আসেনি। দরিদ্রদের জন্য আমাদের ক্যাশ ট্রান্সফার প্রকল্প চলমান আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজেই বিষয়টি দেখছেন।“

আরও পড়ুন