এলএনজি সরবরাহকারীর তালিকায় আসছে আরও চার কোম্পানি

স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি কেনার ক্ষেত্রে আরও চারটি আন্তর্জাতিক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে যুক্ত করতে একটি প্রস্তাবে সায় দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2021, 02:33 PM
Updated : 23 June 2021, 02:33 PM

ফাইল ছবি

বুধবার কমিটির নিয়মিত বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদন পায় বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন জানান।

তিনি বলেন, স্পট মার্কেট থেকে এলএনজি আমদানির জন্য আরও চারটি কোম্পানির সঙ্গে ‘মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্চেজ এগ্রিমেন্ট’ করার একটি প্রস্তাব জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার তরফ থেকে বৈঠকে তোলা হয়েছিল। তাতে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এই চার কোম্পানি হল- জাপানের ইটোচু করপোরেশন, সিঙ্গাপুরের গুনভর সিঙ্গাপুর, দুবাইয়ের শেল ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং এবং যুক্তরাজ্যের টোটাল গ্যাস অ্যন্ড পাওয়ার।

জ্বালানি সচিব  আনিসুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১৭ সালে ৩০টি কোম্পানি এলএনজি সরবরাহের জন্য আগ্রহ দেখালেও মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্চেজ এগ্রিমেন্টে আসে ১৪টি কোম্পানি। এর মধ্যেই বিভিন্ন কোম্পানি বিভিন্ন সময়ে এলএনজি আমদানির টেন্ডারে অংশ নিয়েছে।  

“এখন আরও চারটি প্রতিষ্ঠান মাস্টার সেল চুক্তিতে আসার আগ্রহ দেখিয়েছে। তারা যুক্ত হলে দামের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা আরও বাড়বে।

জরুরি প্রয়োজনে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি ও স্থানীয়ভাবে কেনার যে অনুমতি টিসিবিকে আগে দেওয়া হয়েছিল, তার মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানোর সিদ্ধান্ত এদিন অনুমোদন করেছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

ফলে আগামী ২০২৩ সালের ২৬ জুন পর্যন্ত পেঁয়াজ, রসুন, মশুর ডাল, ছোলা, শুকনা মরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, এলাচ, ধনে, জিরা, আদা, হলুদ, তেজপাতা, সয়াবিন তেল, পাম ওয়েল, চিনি, শিল্প লবণ সহ (খাবার লবণ, বিট লবণ ছাড়া) অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে পারবে টিসিবি।

টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জরুরি প্রয়োজনে কেনাকাটা করতে টিসিবিকে একটি অনুমোদন আগে থেকেই দেওয়া ছিল। এর মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় তা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।”

এদিন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে বেশ কয়েকটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়।

এর মধ্যে ঢাকা ওয়াসার ‘সায়েদাবাদ পানি শোধনাগার প্রকল্প (ফেজ-৩)’ বাস্তবায়নে মট ম্যাকডনাল্ড, ইউরো কনসাল্ট মট ম্যাকডনাল্ড ও অ্যাকুয়া কনসাল্ট অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের জয়েন্ট ভেঞ্চারের কাছ থেকে ১৬৯ কোটি ৩৫ লাখ ৫০ হাজার ৭৬৯ টাকায় পরামর্শ সেবা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বাংলাদেশ পুলিশ ও র‌্যাবের জন্য ২৯ কোটি ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ৬০০ টাকায় ‘জিএসএম ইউএমটিএস ভেহিকুলার অ্যাকটিভ সাপোর্ট সিস্টেম’ কেনার একটি প্রস্তাবও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। থ্রি সিক্সটি টেকনোলজিস এ সরবরাহের কাজ পেয়েছে।

এছাড়া ভারতের বাগাদিয়া ব্রাদার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১৬৯ কোটি ৫৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকায় ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল কেনার একটি প্রস্তাবে ক্রয় কমিটি সায় দিয়েছে।