রোববার মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এক পরিপত্রে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।
খরচ কমানো সংক্রান্ত সর্বশেষ এই পরিপত্রে বলা হয়েছে, “দেশে চলমান করোনাভাইরাস জনিত অভিঘাত মোকাবেলায় স্বাস্থ্যখাত, সামাজিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনাকে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করেছে। সে প্রেক্ষিতে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে তাদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটার বিষয়ে আরও মিতব্যয়ী হওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো।“
একই সঙ্গে প্রজ্ঞাপনে সরকারি কেনাকাটার ক্ষেত্রে পিপিএ অথবা পিপিআর যথাযথভাবে অনুসরণ ও ক্রয় প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি বিবেচনায় চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছাড়া অন্য মন্ত্রণালয়গুলোকে নতুন কোনো উন্নয়ন প্রকল্পে হাত না দিতেও নির্দেশনা দিয়েছিল অর্থ মন্ত্রণালয়।
এছাড়া অর্থবছরের বাকি দুই মাসে নতুন কোনো পূর্ত কাজের অনুমোদন দেওয়া হবে না বলেও ৫ মে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
ওইদিন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি নির্মাণ প্রকল্পের প্রস্তাবও ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
মহামারীকালে অর্থনৈতিক ক্ষতি কাটাতে এক লাখ কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করছে সরকার।
চলতি অর্থবছরে এই প্রণোদনার জন্য অর্থ ব্যয়সহ স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সামাজিক সুরক্ষা খাতে সরকারের ব্যয় বেড়েছে।
অন্যদিকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে রাজস্ব আদায় আশানুরূপ হচ্ছে না।