আরো ২ লাখ খামারি পাবেন ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা

মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্থ আরো ২ লাখ খামারিকে প্রায় ২৯২ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 May 2021, 11:07 AM
Updated : 9 May 2021, 11:07 AM

রোববার সচিবালয়ে করোনাভাইরাস সংকটে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে কার্যক্রম ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

রেজাউল করিম জানান, মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রকল্প থেকে প্রায় চার লাখ ক্ষতিগ্রস্ত খামারিকে প্রায় ৫৫৪ কোটি টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে।

মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্থ আরও প্রায় দুই লাখ খামারিকে প্রায় ২৯২ কোটি টাকা আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই এবং প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ প্রণোদনা কিন্তু লোন না, যা ছোট ছোট প্রান্তিক খামারিকে এটি দেওয়া হবে।”

মন্ত্রণালয়ের উদ্যেগে গতবছর থেকে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম বিক্রির ভ্রাম্যমাণ ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “গত বছর ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকার পণ্য ভ্রাম্যমাণভাবে বিক্রি করতে পেরেছি। মন্ত্রণালয় মাছ, মাংস, দুধ, ডিম এবং এগুলোর উৎপাদন সামগ্রীর সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য সমন্বয়ক হিসেবে কাজ শুরু করেছে।”

মন্ত্রী জানান, ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে গত ৫ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত প্রায় ২২৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকার মাছ, ডিম, দুধ এবং মাংসসহ (গরু, খাসী ও মুরগি) দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রি হয়েছে। বাজার দামের চেয়ে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে।”

গত একমাসে সারাদেশে প্রায় ১৮ হাজার ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালনা করা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, “প্রতি জেলায় প্রতিদিন গড়ে ১০টি করে ভ্রাম্যমান গাড়ি ভাড়া করে এ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। ঢাকা শহরে ৩০ স্পটে ভ্রাম্যমান বিক্রির কার্যক্রম চলছে।”

“ভ্রাম্যমান বিক্রয় ব্যবস্থায় গরুর মাংস প্রতি কেজি ৫০০ টাকা, খাসীর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকা, সোনালী মুরগী প্রতি কেজি ২১০ টাকা, ব্রয়লার মুরগী প্রতি কেজি ১২০ টাকা, ডিম প্রতিটি ৬ টাকা এবং প্যাকেট দুধ প্রতি লিটার ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

“এই দামের অতিরিক্ত দাম কখনো নেওয়া হবে না। যদি ৫০০ টাকায় গরুর মাংস দিতে না পারি তাহলে নিজেদের খামারের গরু জবাই দিয়ে এ চাহিদা পুরণ করব।”

মৎস ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে সরকার ঘোষিত চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।