১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র পাচ্ছে হাতিয়া

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়ায় ১৫ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 April 2021, 12:48 PM
Updated : 28 April 2021, 02:47 PM

প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে জাতীয় গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হাতিয়া চলতি বছরের শেষ নাগাদ শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে হেভি ফুয়েল অয়েলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির অনুমোদন দেওয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহিদা আক্তার জানান, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে হাতিয়ায় ১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এইচএফওভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ১৫ বছর মেয়াদি চুক্তিতে দেশ এনার্জি লিমিটেড এক হাজার ৩৯৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকায় এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করবে। এখান থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রতি ইউনিট ১২ দশমিক ১০ সেন্টে কিনে নেবে সরকার।

বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হলেও আবার কেন জীবাশ্ম জ্বালানিভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হল, এই প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, “সব ক্ষেত্রে সোলার করা যাচ্ছে না। জেনারেলি আমরা সোলারে গুরুত্ব দেব। কিন্তু যেখানে সম্ভব হবে না, সেসব বিশেষ বিশেষ জায়গায় আমরা বিকল্প পদ্ধতিগুলো অবলম্বন করব।”

বহুদিন ধরেই এমন জরাজীর্ন অবস্থায় রয়েছে হাতিয়ার বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু হলে সরবরাহ ব্যবস্থাতেও অঅসবে পরিবর্তন। ছবি: ফয়সাল আতিক

ছয় লক্ষাধিক লোকের বসতি হাতিয়া মেঘনার খরস্রোতা মোহনা দ্বারা স্থলভাগ থেকে বিচ্ছিন্ন। ফলে জাতীয় গ্রিডের বিদ্যুতের সঙ্গে এর কোনো সংযোগ নেই।

বর্তমানে দ্বীপটিতে দুই মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন পিডিবির কিছু পুরোনো জেনারেটর সচল আছে বলে জানান হাতিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান হোসেন।

দেশ এনার্জির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাভিদ হক বলেন, সয়েল টেস্টসহ অন্যান্য কারিগরি কাজ ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রটিকে উৎপাদনে নিয়ে আসতে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।

ক্রয় কমিটির বৈঠকে রাজউকের উত্তরা ১৮ নম্বর সেক্টরে ‘স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনসাধারণের জন্য অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ’ প্রকল্পের ‘বি ও সি’ ব্লকে ১৬ তলা বিশিষ্ট ১০৪টি ভবন নির্মাণ বাতিলের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব শাহিদা জানান, মালয়েশিয়ার একটি কোম্পানি প্রকল্পের কাজটি করছিল। ওই দেশে সরকার পরিবর্তনের পর কোম্পানিটি আর এই কাজে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।