তা না হলে ক্লাবটির বিরুদ্ধে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর।
২০১১-১২ অর্থবছর থেকে ২০১৪-১৫ অর্থবছর পর্যন্ত ক্লাবটির মদ বিক্রি ও অন্যান্য সেবার বিরপীতে ৪ বছরে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দেয়।
২০১৯ সালে নারায়নগঞ্জ ক্লাবের সিএ ফার্মের প্রতিবেদনের তথ্য আড়াআড়ি চেক করে ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর এই ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করে।
এরপর ক্লাব কর্তৃপক্ষকে ওই অর্থ রাজস্ব তহবিলে জমা দিতে কয়েকবার তাগাদা দেওয়ার পরও ফাঁকিকৃত অর্থ পরিশোধ না করায় ভ্যাট গোয়েন্দা গত ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের কাছে নিস্পত্তির জন্য প্রেরণ করে।
দীর্ঘ শুনানি ও মামলা সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ভ্যাট গোয়েন্দার দায়ের করা মামলার ভ্যাট ফাঁকির পরিমাণ বহাল রাখা হয়।
দক্ষিণ ভ্যাট কমিশনারেটের কাছে দীর্ঘ দিন নারায়নগঞ্জ ক্লাব আইনি লড়ায়ের পর গত মঙ্গলবার ভ্যাট কমিশনারেট চুড়ান্ত নিস্পত্তি ঘোষণা করে।
ওই নিস্পত্তিতে ফাঁকিকৃত ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সঙ্গে মাসিক দুই শতাংশ হারে সুদ আরোপ করা হয় আরো ৩ কোটি ৮২ লাখ টাকা।
ভ্যাট কমিশনারেটের নিস্পত্তিতে সবমিলে ৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয় বলে জানায় ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর জানায়।
একইসাথে ১৫ দিনের মধ্যে এই টাকা জমা দিতে ক্লাব কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নোটিস অনুসারে মূল টাকা জমা দেওয়ার পর নতুন করে সুদ হিসাব করে তা আদায় করা হবে।
ভ্যাট গোয়েন্দার মামলার সূত্রে ঢাকা দক্ষিণ কমিশনারেট থেকে নোটিসটি জারি করা হয়েছে বলে জানায় সংস্থাটি।
ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের মহা পরিচালক ড. মইনুল খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, দেশে লকডাউন চলমান থাকায় যে দিন থেকে লকডাউন শেষ হবে সেই দিন থেকে ১৫ কার্য দিবস গণনা করা হবে।