ব্যাংকে গ্রাহক কম, লেনদেনও হাতেগোনা

করোনাভাইরাস সংক্রমণের অতি বিস্তার ঠেকাতে কঠোর লকডাউনের মধ্যে বৃহস্পতিবার ব্যাংক খোলা থাকলেও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় লেনদেনের চাপ ছিল একেবারেই কম।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2021, 09:52 AM
Updated : 15 April 2021, 10:42 AM

বৃহস্পতিবার আগের ঘোষণা অনুযায়ী ব্যাংকে লেনদেন হয়েছে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। লকডাউনের মধ্য সতর্কতার অংশ হিসেবে সীমিত জনবল দিয়ে বিভিন্ন শাখা চালু রেখেছে ব্যাংকগুলো। 

সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মৌচাক ও মগবাজার এলাকার সরকারি ও বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংকের শাখা ঘুরে দেখা গেছে, গ্রাহক উপস্থিতিও ছিল খুবই কম। লেনদেনও হয়েছে সামান্য।

সাধারণত দিনের শুরুর এ সময়টাতে ব্যাংকে ভিড় করেন গ্রাহকরা।

সকাল এগারটায় বেসরকারি ইস্টার্ন ব্যাংকের মৌচাক শাখায় গিয়ে দেখা যায় সীমিতি জনবল নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ; কাউন্টারে কোনো গ্রাহক নেই।  

 ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ফার্স্ট এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট আরিফুল হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“আজকে ব্যাংকে লেনদেন অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক কম। এর কারণ অনেকে সম্ভবত জানেন না যে, ব্যাংক খোলা। আর বেশিরভাগ মানুষ গত মঙ্গলবার তাদের কাজ সেরেছেন ব্যাংক বন্ধ থাকবে বলে। তবে রোববার বোঝা যাবে আসলে কী রকম লেনদেন হবে।”

সকাল সোয়া এগারটার দিকে বেসরকারি ব্যাংক এশিয়ার মৌচাক শাখায় গিয়েও গ্রাহকের সংখ্যা কম দেখা যায়।

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মহসিনুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,“তিনটি কারণে আজকে লেনদেন কম ছিল। এক, মঙ্গলবার সবাই তাদের দরকারি লেনদেন সেরেছেন। দুই, অনেকে লকডাউনের কারণে আসতে পারেনি। আমাদের অনেকে ফোন দিয়ে বলেছেন, তারা মুভমেনট পাস পাননি। তিন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ ছিল।”

সকাল সাড়ে এগারটার দিকে সরকারি সোনালী ব্যাংকের মগবাজার শাখায় গিয়ে দেখা যায় গ্রাহকের সংখ্যা মাত্র দুইজন।

লকডাউনের মধ্যে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ছাড়া ব্যাংকগুলোতে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে।

এছাড়া আনুষঙ্গিক কাজের জন্য আড়াইটা পর্যন্ত খোলা থাকবে ব্যাংক।

বিধি-নিষেধ চলাকালে ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়/প্রধান শাখাসহ সব অনুমোদিত ডিলার (এডি) শাখা ও জেলা সদরে অবস্থিত ব্যাংকের প্রধান শাখা খোলা রাখা যাবে।

সিটি করপোরেশন এলাকাধীন প্রতি ২ কিলোমিটারে মধ্যে একটি শাখা (এডি শাখা না থাকলে) খোলা রাখতে হবে।

তাছাড়া এসময় উপজেলা পর্যায়ে কার্যরত প্রতিটি ব্যাংকের একটি শাখা বৃহস্পতিবার, রোববার ও মঙ্গলবার খোলা রাখতে হবে।