অর্থনীতি চাপে পড়বে না, আশা অর্থমন্ত্রীর

দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা গেলে আর আন্তর্জাতিক বাজারে যদি প্রভাব না পড়ে তাহলে অর্থনীতি চাপে পড়বে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 March 2021, 10:21 AM
Updated : 31 March 2021, 10:21 AM

বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “আমাদের যদি (করোনাভাইরাস) নিয়ন্ত্রণের মাঝে থাকে তাহলে কোনো সমস্যায় পড়ব বলে মনে করি না। তারপরও বিশ্ব অর্থনীতির আঙ্গিনায় আমরা কিন্তু এলাইন, একে অপরের সাথে সম্পৃক্ত। আমাদের যারা বায়ারস তারা যদি অতিমাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে আমাদের কষ্ট হবে।

“আমাদের দুটি সোর্স, একটি হল ডমেস্টিক মার্কেট আরেকটি হল ওভারসিস মার্কেট। ডমেস্টিক মার্কেট আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। প্রত্যেক দেশে ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। ভ্যাকসিনটা প্রতিটি দেশে সমানতালে দেওয়া শেষ হলে আমরা মনে করি করোনার প্রভাবটাও কমে আসবে। এটাই এখন সারাবিশ্ব প্রত্যাশা করে আছে।”

আগামীতে আভ্যন্তরীণ বাজার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, “কি পরিমাণ ক্ষতি হচ্ছে এবং কি পরিমাণ ক্ষতি হবে সেটার উপর নির্ভর করবে। এটি শুধু আমাদের বিষয় না, আন্তর্জাতিক মহল যদি বিপদে না পড়ে তাহলে আমরাও বিপদে পড়ব না। আমরা বিপদটা কাটিয়ে উঠতে পারব আশা করি।”

মহামারীর একটি বছর পেরিয়ে চলতি বছরের শুরুটা কিছুটা স্বস্তিতে গেলেও এখন আবার দৈনিক শনাক্ত রাগীর সংখ্যা বেড়ে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে।

গত এক সপ্তাহে দেশে মোট ২৮ হাজার ৬৯৬ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা মহামারী শুরুর পর থেকে সাত দিনে শনাক্ত রোগীর সর্বোচ্চ সংখ্যা।

ভারত করোনাভাইরাসের টিকা রপ্তানি স্থগিত করায় দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়ে আশংকা আছে কিনা জানতে চাইলে মুস্তফা কামাল বলেন, “এ ধরণের কোনো উৎকণ্ঠার কথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেননি। ভ্যাকসিন না পাওয়ার কোনো কারণ নেই, আমরা পাব।”

গণ টিকাদান শুরু হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা আগামী এক বছরে আরও জোর পাবে বলে ধারণা করছে বিশ্ব ব্যাংক; আর এর ভিত্তিতে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য আগের পূর্বাভাসের চেয়ে ভালো প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করেছে।

বিশ্ব ব্যাংকের প্রাক্কলনের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “তারা যেটা করে তা হল আমাদের মেজার অনুযায়ী সঠিক কিনা, আমাদের মেথডটা ঠিক আছে কিনা এবং যে সমস্ত প্যারামিটার আছে তা যথাযথভাবে ওয়েআউট করি কিনা।

“বছর শেষ হলে আমার যেটা হিসাবে আনব সেটা তারাও মেনে নেয়। এ মুহূর্তে আমরা হিসাব চূড়ান্ত করি নাই, আমরা কিন্তু প্রজেকশন করি না তারা কিন্তু প্রজেকশন করে ইয়ারলি, মান্থলি। আমরা বছরে একবার চূড়ান্ত হিসাব দেই।”