বুধবার বিশ্ব ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মহামারীর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এই গোষ্ঠীর আয়ের সুযোগ বাড়াতে এবং ধকল সামলে উঠতে এই তহবিল ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশ সরকার।
রিকভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (আরএআইএসই) প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। এই প্রকল্প এক লাখ ৭৫ হাজার ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার কর্মসংস্থান ও উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে।
দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষনবিশ কর্মসূচি, পরামর্শ, ক্ষুদ্রঋণ ও স্বকর্মসংস্থান সহায়তার মতো সেবাগুলো পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করবে এই প্রকল্প।
২০২০ সালের জানুয়ারির পর মহামারীর কারণে দেশে ফিরতে বাধ্য হওয়া দুই লাখ প্রবাসী কর্মীকে দেশে বা বিদেশে আবার কাজের সুযোগ করে দেওয়ার ক্ষেত্রেও সহায়তা দেয়া হবে এই প্রকল্পে আওতায়।
বাংলাদেশ ও ভুটানের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেমবুন বলেন, “বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশে দারিদ্র্য বিমোচনের অভূতপূর্ব সাফল্যের পেছনে বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং শহরের অনানুষ্ঠানিক খাতের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। তবে কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে এই দুটি খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।”
“প্রকল্পটি এই দুই গোষ্ঠীর কর্মীদেরই সহায়তা দেবে তাদের নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে যেতে।”
প্রকল্পের দলনেতা ও বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সৈয়দ আমের আহমেদ বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে দেশে ফিরতে বাধ্য হওয়া প্রবাসী কর্মীদের জন্য তাৎক্ষণিক চাহিদাগুলো পূরণের লক্ষ্য রাখা হয়েছে এই প্রকল্পে। দীর্ঘমেয়াদে যাতে তারা এই ধকল সামলে ওঠার সুফল পেতে পারেন সে ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। নারী প্রবাসী কর্মীরাও, বিশেষত যারা লৈঙ্গিক বৈষম্যের শিকার, তারা এই প্রকল্পের আওতায় সেবা নিতে পারবেন।”
বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের সদস্য ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) মাধ্যমে ৩০ বছর মেয়াদী এই ঋণ সহায়তা দেওয়া হবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে আইডিএর সবচেয়ে বড় ঋণ কর্মসূচি চলছে, যার মোট পরিমাণ এক হাজার ৩৫০ কোটি ডলার।