ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৮৪৭ কোটি টাকার কাজ পেল দুই ঠিকাদার

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পূর্ত কাজের অংশ হিসাবে দুই প্রকল্পে আরও ৮৪৬ কোটি ৮১ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪৮ টাকার কাজ দুই ঠিকাদার কোম্পানিকে দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2021, 12:26 PM
Updated : 27 Jan 2021, 12:26 PM

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বুধবার ক্রয় কমিটির বৈঠকে এই দুই প্রকল্প ছাড়া আরও পাঁচটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

এছাড়া অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তোলা ‘স্বর্ণ নীতিমালা-২০১৮’ সংশোধনের প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, স্বর্ণ আমদানি নীতিমালা আগে থেকেই কার্যকর ছিল। এতদিন ব্যবসায়ীরা স্বর্ণ আমদানি করে বিপণন করতে পারতেন। নীতিমালা সংশোধন হলে তারা অপরিশোধিত স্বর্ণ আমদানি করে পরিশোধন ও বিপণন করতে পারবেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের বলেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের অধীনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম অংশের পূর্ত কাজের জন্য ‘পারফরম্যান্স বেইজড অপারেশন ও দৃঢ়করণ’ প্রকল্পের কাজ ২৯০ কোটি ২৬ লাখ ৯৪ হাজার ৭৬৫ টাকায় তাহের ব্রাদার্সকে দেওয়ার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

একই প্রকল্পের কুমিল্লা অংশের পূর্ত কাজ পেয়েছে আব্দুল মোনেম ও স্পেক্ট্রা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জয়েন্ট ভেঞ্চা। এ কাজে ব্যয় হবে ৫৫৬ কোটি ৫৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮৮৩ টাকা।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের রাজশাহী, রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগে শতভাগ বিদ্যুতায়নের জন্য নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের অংশ হিসাবে বাংলাদেশ মেশিন ট্যুলস ফ্যাক্টরির কাছ থেকে ৩২ কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকায় ২৩ হাজার ৬৫০টি এসপিসি পোল কেনার প্রস্তাব মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন পেয়েছে।

ঢাকা মহানগর এলাকায় পুলিশ সদস্যদের জন্য নয়টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ডেমরা পুলিশ লাইন্স এলাকায় ২০তলা ভবন নির্মাণের পূর্ত কাজ ৮০ কোটি ৩৫ লাখ ৩২ হাজার ২৯৭ টাকায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও অরবিটাল বাংলাদেশের জয়েন্ট ভেঞ্চারকে দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে শহর এলাকায় ‘স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য উন্নত জীবন ব্যবস্থা (প্রথম সংশোধিত)” প্রকল্পে যুক্তরাজ্যের আইএমসি ওয়াইডের কাছ থেকে পরামর্শক সেবা নেওয়ার জন্য অতিরিক্ত ১৩ কোটি ৪ লাখ ৩ হাজার ৭২৯ টাকার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফলে এ প্রকল্পে ব্যয় বেড়ে হচ্ছে ৫৮ কোটি ৪২ লাখ ৮১ হাজার ৬০০ টাকা।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নামগঞ্জ-মদনপুর-দিরাই-শাল্লা-জলসুখা-আজমিরিগঞ্জ-হবিগঞ্জ মহাসড়কের শাল্লা জলসুখা সড়কাংশ নির্মাণ প্রকল্পের পূর্ত কাজ জয়েন্ট ভেঞ্জারের ভিত্তিতে এমএম বিল্ডার্স, জন্মভূমি নির্মাণ ও ওহিদুজ্জামান চৌধুরীকে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের ব্যায় ১৫১ কোটি ২২ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫৬ টাকায় টাকা।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ‘ক্রস-বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্ট (বাংলাদেশ) প্রকল্পের পরামর্শক হিসেবে কাজ পেয়েছে জাপানের ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট গ্লোবাল, ওরিয়েন্টাল কনসালটেন্ট ও পেডেকো। এই প্রকল্পের জন্য অতিরিক্ত ১৮ কোটি ৮৮ লাখ ৩৭ হাজার ৯৬৮ টাকার অনুমোদন দেওয়ায় মোট ব্যয় দাঁড়াচ্ছে ২৫৪ কোটি ৯৩ লাখ ১২ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্রয় সংক্রান্ত কমিটিতে অনুমোদিত সাতটি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ১৪২ কোটি ৬৯ লাখ ৭৮ হাজার ৯৮ টাকা।

এর মধ্যে ১ হাজার ১১০ কোটি ৭৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪০১ টাকার যোগান দেবে বাংলাদেশ সরকার। বিশ্ব ব্যাংক ও জাইকা থেকে ঋণ হিসেবে ৩১ কোটি ৯২ লাখ ৪১ হাজার ৬৯৭ টাকা পাওয়া যাবে।