মহামারীতে সরকারি ব্যয় কমেছে, সংসদে তথ্য

করোনাভাইরাসের প্রভাবে সরকারি ব্যয় কমেছে। গত অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) তুলনায় চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারি ব্যয় কমেছে সাত দশমিক ৫৭ শতাংশ কমেছে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Jan 2021, 09:11 AM
Updated : 20 Jan 2021, 09:11 AM

বুধবার জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত চলতি অর্থবছরের বাজেটের প্রথম প্রান্তিকের বাস্তবায়ন অগ্রগতি বিষয়ক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল সংসদে এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন।

সামনের দিনগুলোকে ব্যয় বৃদ্ধির জোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও অর্থমন্ত্রী জানান।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে সরকারি ব্যয় ৬২ হাজার ৯১৪ কোটি টাকা, যা বাজেটের ১১ দশমিক শূণ্য ৮ শতাংশ। এ সময় ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল মোট বাজেটের ১৭ দশমিক ৯১ শতাংশ।

সার্বিকভাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে গত অর্থবছরের একই সময়ের  তুলনায় মোট ব্যয় ৭ দশমিক ৫৭ শতাংশ, বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয় ২৬ দশমিক ২৬ শতাংশ এবং পরিচালন ব্যয় এক দশমিক ২৮ শতাংশ কমেছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতিধারা থেমে নেই উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, “করেনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। এর মোট পরিমাণেএক লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা।

“জিডিপি ক্রমাগত হারে বেড়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে কিছুটা শ্লথ হয়েছে। তারপরও এশিয়ার অনেক দেশের চেয়ে আমাদের জিডিপি অনেক ভালো। বর্তমানে জিডিপি ৫.২৪ শতাংশ। মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে, বর্তমানে মাথা পিছু আয় ২০৬৬ মার্কিন ডলার। আমাদের রপ্তানি আয় ৪৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের অভীষ্ট লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত অর্থনীতির দেশ উন্নীত হওয়া। আমরা খুব শিগগিরই অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হব।”

তিনি বলেন, “করোনাভাইরাসের ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর যুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশ যথেষ্ট সাফল্য দেখিয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ এবং প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ফলে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।”

করোনায় বৈশ্বিক বিপর্যয়ে বাংলাদেশের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জনের ধারা কিছুটা শ্লথ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গতবারের তুলনায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন আট দশমিক তিন শতাংশ থেকে কমে আট দশমিক দুই শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আমাদানি ব্যয় ১১ দশমিক ৪৩ শতাংশ কমে ১২ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

মুল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বেড়ে পাঁচ দশমিক ৫৯ শতাংশ হয়েছে। বিপরীতে কর রাজস্ব চার দশমিক ১১ শতাংশ, প্রবাস আয় ৪৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ, রপ্তানি আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে দুই দশমিক ৫৪ শতাংশ।”