মেয়াদ না বাড়িয়ে প্রকল্পের অবস্থা তদন্তের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

তিন বছরের প্রকল্প নয় বছরেও শেষ করতে না পেরে আরও চার বছর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব একনেক সভায় উপস্থাপনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অসন্তোষ জানিয়ে ফেরত পাঠিয়েছেন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Jan 2021, 03:32 PM
Updated : 5 Jan 2021, 03:32 PM

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন প্রকল্পের সর্বশেষ কী অবস্থা, শিগগির তা সরেজমিন পরিদর্শন করে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগকে (আইএমইডি) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জন্য এ রকম কয়েকটি ভবন দাঁড় করানো হলেও সেগুলোর কোনোটিই ব্যবহার উপযোগী করা হয়নি, যদিও তিন বছরের প্রকল্প এরইমধ্যে নয় বছর খেয়ে ফেলেছে।

মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

একনেক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, প্রকল্পটি ২৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন বছরে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর দুই দফায় ব্যয় বৃদ্ধি ব্যতিরেকে মেয়াদ বাড়িয়ে ২০১৬ সালে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

পরে ২০১৬ সালে প্রকল্পের ব্যয় ৬৮২ কোটি টাকায় উন্নীত করে ২০১৯ সালে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।

শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভায় উপস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালেও প্রকল্পটি শেষ করতে না পারায় এবার আবারও ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়াই আরও চার বছর মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৩ সালে শেষ করার প্রস্তাব করা হয়।

“এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ নয় বছর শেষ হয়ে গেছে। সেই হিসাবে আরও চার বছর বাড়ানো হলে ১৩ বছরে প্রকল্পটি শেষ করতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

“এমন পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী অসন্তুষ্ট হয়ে প্রকল্পটির মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন এবং আইএমইডিকে সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রকল্পের সর্বশেষ কী অবস্থা তার প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।”

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এই প্রকল্প পরিদর্শনের জন্য আইএমইডি সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হবে। তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন তৈরি করবে।