মহামারীর বছরে ২০% বেশি রেমিটেন্স

কোভিড-১৯ মহামারীর বছরে অর্থনীতি চুপসে গেলেও রেমিটেন্সে ছিল গতি; বছর শেষে হিসাব করে দেখা গেল, আগের বছরের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

আবদুর রহিম হারমাছি প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Jan 2021, 01:39 PM
Updated : 3 Jan 2021, 02:15 PM

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ২০২০ সালে ২ হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ (২১.৭৪ বিলিয়ন) ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে।

আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে ১৮ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। সেই হিসাবে ২০২০ সালে ২০ শতাংশ বেশি রেমিটেন্স এসেছে।

সদ্য শেষ হওয়া বছরে যে পরিমাণ রেমিটেন্স এসেছে, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে আগে কখনই আসেনি।

অথচ গত বছরের শুরুতেই করোনাভাইরাস মহামারি শুরু হলে রেমিটেন্সে খরা নামার আশঙ্কা করা হয়েছিল।

এপ্রিলে রেমিটেন্স কমেও গিয়েছিল। কিন্তু তারপর ধারাবাহিকভাবে রেমিটেন্স বেড়েছে।

এর মধ্যে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথমার্ধে অর্থাৎ জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে এসেছে এক হাজার ২৯৪ কোটি ৪৭ লাখ (১২.৯৪ বিলিয়ন) ডলার।

আর ২০১৯-২০অর্থবছরের শেষ ছয় মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি-জুন সময়ে এসেছে ৮৭৯ কোটি ৭০ লাখ (৮.৭৯ বিলিয়ন) ডলার।

গত জুলাইয়ে ২৬০ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছিল, যা ছিল মাসের হিসেবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

ফাইল ছবি

দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা ১ কোটিরও বেশি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। দেশের জিডিপিতে এই রেমিটেন্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ২০২০ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২০৫ কোটি ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা, যা ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে ২১ দশমিক ২১ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরের ছয় মাসের পাঁচ মাসেই ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স দেশে এসেছে।

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।

আর চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলারের যে রেমিটেন্স এসেছে তা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৭ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।

রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়াতে গত অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।

নতুন মাইলফলকে রিজার্ভ

এদিকে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উপর ভর করে মহামারীর মধ্যেই বাংলাদেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন গত ৩০ ডিসেম্বর ৪৩ বিলিয়ন (৪ হাজার ৩০০ কোটি) ডলার অতিক্রম করেছে।

রোববার দিন শেষে রিজার্ভে ছিল ৪৩ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার, যা অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

আরও খবর