বিশেষ সুবিধা নেওয়া ঋণ খেলাপিদের জন্যও মহামারীর ছাড়
আবদুর রহিম হারমাছি, প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 31 Dec 2020 12:46 AM BdST Updated: 31 Dec 2020 12:46 AM BdST
দুই শতাংশ অর্থ আগাম পরিশোধ করে ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ যারা নিয়েছিলেন, তাদেরও মহামারীরকালের বিশেষ সুবিধার আওতায় আনল বাংলাদেশ ব্যাংক।
যেসব ঋণ খেলাপি ২০১৯ সালে যারা ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে ১০ বছরে খেলাপি ঋণ পরিশোধের সুযোগ নিয়েছিলেন, তারাও ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে কিস্তি না দিলে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে হবেন না।
বুধবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাবের কারণে সামগ্রিক ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি ২০১৯ সালে (ওই বিশেষ সুবিধায়) পুনঃতফসিল/এককালীন এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতারা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, ২০১৯ সালের ওই সার্কুলারের আওতায় (বিশেষ সুবিধায়) পুনঃতফসিল/এককালীন এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ/বিনিয়োগসহ অন্যান্য পুনঃতফসিল/এককালীন এক্সিট সুবিধাপ্রাপ্ত ঋণ/বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে যেসব সুবিধা দেওয়া হয়েছে, তা প্রযোজ্য হবে।
“এক্ষেত্রে পুনঃতফসিল/এককালীন এক্সিটের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগগ্রহীতা কর্তৃক তার ঋণ/বিনিয়োগের অর্থ পরিশোধের জন্য প্রদত্ত মেয়াদের যে অংশ ১ জানুয়ারি ২০২০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখের মধ্যে পড়বে শুধুমাত্র সে অংশ ডেফার্ড (এককালীন এক্সিটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১৮০ দিন) হিসেবে বিবেচিত হবে।”
করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম দফায় চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ঋণ শ্রেণিকরণে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। মহামারীর প্রকোপ দীর্ঘায়িত হওয়ায় গত ১৫ জুন আরও তিন মাস বাড়িয়ে তা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়। সর্বশেষ গত ২৮ সেপ্টেম্বর সেই সময় আরও তিন মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুবিধা দেওয়া হয়।
সর্বশেষ নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছিল, কোভিড-১৯ মহামারীর নেতিবাচক প্রভাব দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় অনেক শিল্প, সেবা ও ব্যবসা খাত তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না।
তাই ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ঋণ/বিনিয়োগের শ্রেণিমান যা ছিল, আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ওই ঋণ/বিনিয়োগ তার চেয়ে বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে না।
তবে কোনো ঋণের/বিনিয়োগের শ্রেণিমানের উন্নতি হলে তা যথাযথ নিয়মে শ্রেণিকরণ করা যাবে।
২০১৯ সালের মে মাসে ঋণ খেলাপিদের মোট ঋণের ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টে ৯ শতাংশ সুদে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ১০ বছরে ওই টাকা পরিশোধের সুযোগ দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
ওই সুযোগ নিয়ে ৫২ হাজার কোটি টাকার ঋণ নিয়মিত বা পুনঃতফসিল করেছিলেন খেলাপরিা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বর শেষে দেশের ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। এই অঙ্ক মোট বিতরণ করা ঋণের ৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
বিশেষ সুবিধা ও ছাড়ের কারণে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর- এই নয় মাসে নতুন করে কোনো ঋণ খেলাপি হয়নি। তবে কিছু উদ্যোক্তা নিজ উদ্যোগে কিছু ঋণ শোধ করেছেন।
-
কাঁচা চামড়ায় ঋণের জন্য ৪৪৩ কোটি টাকা, পাচ্ছে কে?
-
কোথায় কখন লোড শেডিং, সময় বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
-
ফল গাড়িসহ বিলাস পণ্য আমদানিতে ঋণ নয়
-
বাণিজ্য ঘাটতি বাড়ছেই, এবার ছাড়াল ৩০ বিলিয়ন ডলার
-
৮ দিন গভর্নরবিহীন বাংলাদেশ ব্যাংক
-
আরও আড়াই লাখ টন চাল আমদানির অনুমোদন
-
ব্যয় সঙ্কোচন: ‘কম গুরুত্বের’ প্রকল্পে অর্থ ছাড় বন্ধ
-
একদিনে যেকোন অঙ্কের রেমিটেন্স পাঠানো যাবে
সর্বাধিক পঠিত
- কোথায় কখন লোড শেডিং, সময় বেঁধে দেওয়ার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
- নিজের গায়ে আগুন দেওয়া গাজী আনিসকে বাঁচানো গেল না
- ফেইসবুকে ধর্ম নিয়ে মন্তব্য: স্কুল শিক্ষকের ৮ বছরের কারাদণ্ড
- রুট-বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে রেকর্ড গড়ে ভারতকে হারাল ইংল্যান্ড
- গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা: হেনোলাক্স গ্রুপের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা
- সঙ্কট আসতে পারে, প্রস্তুত থাকতে হবে: কাদের
- বেয়ারস্টো-রুটের ব্যাটে রেকর্ড গড়ার পথে ইংল্যান্ড
- দিনে বিদ্যুৎ যাচ্ছে কয়েকবার
- কোহলির রেকর্ড ভেঙে বাবর বললেন, ‘পরিশ্রমের ফসল’
- পিএসজির নতুন কোচ গালতিয়ে