মঙ্গলবার সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ তহবিল থেকে ঋণ পাবেন কৃষকরা।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৩ এপ্রিল ওই ঋণের জন্য যে নীতিমালা ঘোষণা করেছিল তাতে বলা হয়েছিল, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই তহবিল থেকে ঋণ পাওয়া যাবে।
কিন্তু ঋণ বিতরণ আশানুরূপ না হওয়ায় ২০ সেপ্টেম্বর ওই সময়সীমা তিন মাস বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয় । এখন তা আরও তিন মাস বাড়ানো হল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, “কৃষি খাতে বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিমটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণের সময়সীমা ৩১ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হল।”
এ তহবিলের আওতায় অংশগ্রহণকারী ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ১ শতাংশ সুদ হারে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা পাবে। আর গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার হবে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ।
মহামারীর ক্ষতি সামলে উঠতে এখন পর্যন্ত প্রায় সোয়া লাখ কোটি টাকার মোট ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।
এ সব প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বড় বড় উদ্যোক্তারা ঋণ পেলেও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কৃষকের ঋণ বিতরণের পরিমাণ এখনও কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪ শতাংশ সুদে কৃষকদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণের মধ্যে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার কোটি টাকার মত ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো।
কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক এবং অগ্রণী ব্যাংক ছাড়া অন্য কোনো ব্যাংক এই প্রণোদনার ঋণ বিতরণ করেনি।