এই প্রকল্পের আওতায় জেলায় ১৪টি মার্কেটও নির্মাণ করা হবে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ৭৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয় বলে পরিকল্পনা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আসাদুল ইসলাম জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সচিব আসাদুল ইসলাম জানান, বৈঠকে সংশ্লিষ্ট একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়ার সময় প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ক্রমে সব গ্যাস সংযোগে প্রিপেইড মিটার স্থাপনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে শিল্প এলাকায় প্রিপেইড মিটার স্থাপনের উপর তিনি বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
“বৈঠকে ‘প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন’ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প নিয়ে আলোচনার সময় শিগগির প্রিপেইড গ্যাস মিটার ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে মিটার চার্জ হিসেবে বর্তমানে যে ৬০ টাকা নেওয়া হচ্ছে তা আগামীতে ১০০ টাকা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
সংবাদ সম্মেলনে ‘নরসিংদী জেলার পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্পের সারাংশ তুলে ধরেন পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পল্লী উন্নয়ন ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ।
তিনি বলেন, নরসিংদী এলাকার সড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে শিল্প এবং কৃষি ও অকৃষি অর্থনীতির সঞ্চালনের জন্য এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
“নরসিংদী হচ্ছে একটি শিল্প প্রধান জেলা। কিন্তু ওই জেলার অবকাঠামো শিল্প পণ্য নিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের উপযুক্ত নয়। তাই ওই জেলার উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামীণ এলাকার সড়ক উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে।
“এছাড়াও গ্রামীণ জনগণের জন্য গ্রাম বাজার, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে যাতায়াত সুবধিা বৃদ্ধি করে শহরের সুবিধা গ্রামাঞ্চলে সৃষ্টি করার মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদের সাধারণ মানুষের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা এই প্রকল্পের অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।”
পরিকল্পনা সচিব বলেন, বৈঠকে এ প্রকল্পসহ তিন হাজার ৩০৮ কোটি ৩৬ লাখ টাকা ব্যয়ের ৫টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এক হাজার ২৪৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা, প্রকল্প সহায়তা থেকে ২ হাজার ৪২ কোটি টাকা এবং বাকি ২০ কোটি ৯৮ লাখ টাকা নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে।
বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হল-
>> ‘রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন (১ম সংশোধিত)’ প্রকল্প। এই প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
>> ‘খুলনা শহরে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নির্মাণের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ’ (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। এতে ব্যয় বেড়েছে ১১৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
>> ‘মানব সম্পদ উন্নয়নে গ্রামীণ পানি সরবরাহ স্যানিটেশন এবং স্বাস্থ্য বিধি’ প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৮৮২ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
এবং
>> ‘প্রিপেইড গ্যাস মিটার স্থাপন’ (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। এতে ব্যয় বেড়েছে ২৫৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।