এনজিও ও নাগরিক সংগঠনগুলোকে একমঞ্চে আনতে নতুন জোট

এনজিও ও নাগরিক সংগঠনগুলোকে এক মঞ্চে আনতে গঠিত হল সিভিল সোসাইটি অরগানাইজেশন (সিএসও) অ্যালায়েন্স।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Dec 2020, 07:59 AM
Updated : 22 Dec 2020, 08:45 AM

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী এই জোটের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।

মঙ্গলবার সকালে এক ওয়েবিনারে নতুন এই জোট গঠনের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।

রাশেদা কে চৌধুরী

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, এ জোটের উদ্দেশ্য এনজিও, তাদের নেটওয়ার্ক ও সিএসওর মধ্যে আরও আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের দক্ষতা ও উন্নয়নমূলক কাজের প্রভাব মূল্যায়ন, বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় বিষয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সম্পর্কে মতবিনিময় এবং নীতিগত পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করা। 

এ জোট গঠনে ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা স্যার ফজলে হাসান আবেদের ভূমিকা স্মরণ করে তিনি বলেন, “আবেদ ভাই দেশের উন্নয়নের স্বার্থে আমাদের সব এনজিও ও সিএসগুলোকে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলতেন। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে নীতিনির্ধারণী বিষয়গুলো নিয়ে এক প্ল্যাটফর্মে আসার কথা তিনিই আমাদের বলেছেন।”

নতুন এই জোটের ৪০০ এনজিও যুক্ত হয়েছে বলে জানান রাশেদা কে চৌধুরী।

তিনি বলেন, “মানবাধিকারের বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমাদের শিক্ষা, নারী, স্বাস্থ্য খাতে সবাইকে একসাথে কাজ করতে হবে।  এসব ক্ষেত্রে আজকে যে নানা প্রতিবন্ধকতা আসছে, তা আমাদের একসাথে মোকাবেলা করতে হবে।”

নতুন এই জোটের সচিবালয় হিসেবে কাজ করবে ব্র্যাক।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ ওয়েবিনারে বলেন, “সরকারের পাশাপাশি আমরা দেশের উন্নয়নের জন্য যে নানা কর্মকাণ্ড করছি,সে অবদানগুলো সামনে আসা দরকার। সামাজিক নানা সংগঠন ও আন্দোলনগুলোকে এক প্ল্যাটফর্মে আনতেই এ উদ্যোগ।”

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা গওহর রিজভী, বিশেষ অতিথি ছিলেন এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক রাশেদুল ইসলাম ও অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ।

গওহর রিজভী

গওহর রিজভী আয়োজকদের উদ্দেশে বলেন, “অ্যাডভোকেসি করতে গেলে আপনাদের সবার আগে এভিডেন্স দরকার। অনেকগুলো পলিসি পেপার আছে লিখিত আকারে, কিন্তু সেসবের দিকে ফিরেও তাকায় না। কারণ তাদের স্ট্রং এভিডেন্স নাই। তাই বলব, সামাজিক নানা ইস্যুতে কাজ করতে গেলে স্ট্রং এভিডেন্স লাগবেই।”

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, “আমাদের এখানে বিভিন্নমুখী সংগঠন (এনজিও) আছে। তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে আইনি কাঠামো সব কিছুই ভিন্ন। সরকারি নিয়ন্ত্রণের ভেতরে থেকে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চয়ই আছে।

“কিন্তু সরকারকে এদের স্বাধীনতা দিতে হবে। সরকারের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এদের পূর্ণ সম্ভাবনা যেন বিঘ্নিত না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে।”