শুক্রবার এডিবির এক বিবৃতিতে ‘এশিয়া প্যাসিফিক ভ্যাকসিন একসেস ফ্যাসিলিটি (এপিভিএএক্স)’ নামে এই তহবিলের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এডিবির প্রেসিডেন্ট মাসাতসুগু আসাকাওয়া বলেন, “এডিবির সদস্য উন্নয়নশীল দেশগুলো তাদের জনগণকে টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এখন তাদের ভ্যাকসিন কেনার জন্য অর্থের পাশাপাশি পুরো টিকাদান প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চালিয়ে নিতে সঠিক পরিকল্পনা ও জ্ঞানের প্রয়োজন হবে।”
এপিভিএএক্স এর আওতায় টিকা কেনার পাশাপাশি তা নিজ নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থায়ন করবে এডিবি। পাশাপাশি টিকা বিরতণ ও সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করেই এই অর্থায়ন করবে এডিবি। এর আওতায় এডিবির সদস্য উন্নয়নশীল দেশগুলোতে টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা বৃদ্ধিরও সুযোগ ঘটবে।
টিকা আমদানির ক্ষেত্রে সদস্য দেশগুলোর যাতে আর্থিক সমস্যায় পড়তে না হয়, সেজন্য ৫০ কোটি ডলার ঋণ হিসেবে দেবে এডিবি।
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এ পর্যন্ত এককোটি ৪৩ লাখের বেশি মানুষের কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে, মারা গেছেন দুই লাখের বেশি মানুষ।
মহামারীর কারণে ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় মোট আঞ্চলিক উৎপাদন ১৯৬০ সালের পর প্রথমবারের মত সঙ্কুচিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তবে ২০২১ সালে এ অঞ্চলের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে এবং ৬.৮ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি।