পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে

মুন্সীগঞ্জের সঙ্গে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের দ্রুত যোগাযোগ স্থাপনে পঞ্চবটি থেকে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হবে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Dec 2020, 02:10 PM
Updated : 8 Dec 2020, 10:27 AM

এজন্য প্রায় ২ হাজার ২২৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘পঞ্চবটি হতে মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার।

প্রকল্পটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) মো. মামুন আল রশিদ।

তিনি বলেন,  “মূলত রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সঙ্গে ক্রমেই শিল্প নগরী হয়ে উঠা মুন্সীগঞ্জের সঙ্গে সড়ক ব্যবস্থার মাধ্যমে সহজ ও ব্যয় সাশ্রয়ী যোগাযোগ অবকাঠামো গড়ে তোলার উদ্দেশ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

তিনি জানা, প্রকল্পটির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের পঞ্চবটি থেকে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু পর্যন্ত বিদ্যমান সড়ক দুই লেইনে প্রশস্ত করার পাশাপাশি দুই লেইনের এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের প্রস্তাব করা হচ্ছে।

এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দক্ষিণাঞ্চলের যানবাহনগুলো রাজধানীতে না ঢুকেই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চলাচল করতে পারবে।

এ প্রকল্পটি বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে।

দুই হাজার ২২৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ের এ প্রকল্পটিতে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে প্রায় দুই হাজার ৬ কোটি টাকার জোগান দেওয়া হবে। বাকি ২২২ কোটি টাকার জোগান দেবে সেতু কর্তৃপক্ষ।

আগামী জানুয়ারিতে শুরু করে ২০২৫ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে।

ট্রাফিক সমীক্ষা অনুযায়ী, পঞ্চবটি-মুক্তারপুর সড়কের প্রশস্ততা গড়ে ছয় মিটার এবং সড়কটিতে বিদ্যমান অ্যানুয়েল এভারেজ ডেইলি ট্রাফিক (এএডিট) ১৭ হাজার ৯১০টি।

সমীক্ষায় প্রক্ষেপন করা হয়েছে, ২০২৩ সালে এ পথে যানবাহনের সংখ্যা হবে দৈনিক ২৩ হাজার ৯২০টি এবং ২০২৮ সালে তা ৩০ হাজার ৫৬০, ২০৩৩ সালে ৩৯ হাজার এবং ২০৪৩ সালে ৬৩ হাজার ৫৮০টিতে উন্নীত হতে পারে।

প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় সাত কিলোমিটার অ্যাটগ্রেড সড়ক দুই লেইন এবং ৩ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার অ্যাটগ্রেড সড়ক ৪ লেইনে উন্নীত করা হবে।

এছাড়া দুই লেইন সড়কের ওপর ৬ দশমিক ২৫ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে এবং উঠানামার জন্য ছয়টি র‌্যাম্প থাকবে। এ র‌্যাম্পের মোট দৈর্ঘ্য হবে ২ দশমিক ৮ কিলোমিটার।

প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এটি বাস্তবায়িত হলে ওই সড়কে যানবাহনের গতিসীমা ৪ দশমিক ৪৫ গুণ বাড়ার পাশাপাশি ভ্রমণ সময় কমে আসবে ৬২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।