প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ পাবে ‘ছোট’রা

মহামারীর ক্ষতি সামলে উঠতে সরকার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে, সেখান থেকে ঋণ পাওয়ার সময় আরও এক মাস বাড়ানো হয়েছে।

প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Nov 2020, 01:31 PM
Updated : 26 Nov 2020, 01:32 PM

এখন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই তহবিল থেকে ঋণ পাবেন ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা। আগে এই ঋণের জন্য আবেদন করতে প্রথম দফায় অগাস্ট ,পরে তা দুই মাস বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর এবং পরে আরও এক মাস বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল।

সেইসঙ্গে এই ঋণ বিতরণের শর্তে পরিবর্তন এনে ব্যবসা (ট্রেডিং) উপখাতে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আগে এ উপখাতে মোট বিতরণ করা ঋণের ৩০ শতাংশ  দিতে বলা হয়েছিল।

সিএমএসএমই খাতে ঋণ বিতরণের সময় আরেক দফা বাড়ানোর বিষয়টি রোববার এক সার্কুলারের মাধ্যমে সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত ১৩ এপ্রিল সিএমএসএমই খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ ঋণ সুবিধার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, “বিদ্যমান তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের বড় অংশ ট্রেডিং খাতে বিনিয়োগ করা হয়েছে মর্মে পরিদৃষ্ট হয়। এই খাতে বিনিয়োগের আনুপাতিক হার বৃদ্ধি করা হলে আরও অধিক সংখ্যক ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহককে এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় অন্তর্ভুক্তিকরন সহজতর হবে।

“একইসাথে, এ বিষয়টিও পরিলক্ষিত হচ্ছে যে, আলোচ্য প্যাকেজের আওতায় কিছু ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ বিতরণ কাঙিক্ষত পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি।”

এমন পরিস্থিতিতে নতুন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়।

>> ব্যবসা (ট্রেডিং) উপখাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের বাৎসরিক ঋণের আনুপাতিক হার ৩০ শতাংশ হতে বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ ৩৫ শতাংশে পুনঃনির্ধারণ করা হল।

>> এই প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ব্যবসা উপখাতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদত্ত/প্রদেয় বিনিয়োগের অনুপাত বাৎসরিক ঋণ/বিনিয়োগের ৩০ শতাংশের বেশি হলে (যা কোনভাবেই ৩৫ শতাংশের অধিক হতে পারবে না) সমানুপাতিক হারে উৎপাদন ও সেবা উপখাতে প্রদত্ত/প্রদেয় ঋণ/বিনিয়োগের অনুপাত হ্রাস পাবে। তবে, উৎপাদন ও সেবা উপখাতে প্রদত্ত/প্রদেয় সামগ্রিক ঋণের অনুপাত ৬৫ শতাংশের কম হবে না।

>> এই ঋণসীমা নির্ধারণে উৎপাদন, সেবা ও ব্যবসা উপখাতে গ্রাহকের ক্ষতির মাত্রা বিবেচনা করে বিদ্যমান/নতুন ঋণ/বিনিয়োগ গ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে প্রদেয় ঋণের পরিমান (চলতি মূলধন) সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিদ্যমান ঋণ-নীতিমালার আওতায় ব্যাংকার গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। তবে, বিদ্যমান গ্রাহকের ক্ষেত্রে উল্লিখিত সীমা পূর্ববর্তী বছরে প্রদত্ত চলতি মূলধন ঋণ সুবিধার অধিক হবে না।

>> এই প্যাকেজের আওতায় ঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের সময়সীমা ডিসেম্বর ৩১, ২০২০ তারিখ পুনঃনির্ধারণ করা হলো।