গতি ফিরছে বেসরকারি ঋণ প্রবাহে

তলানিতে নামার পর গতি ফিরছে দেশের বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে; জুলাইয়ের পর অগাস্টেও ঋণপ্রবাহে প্রবৃদ্ধি বেড়েছে।

আবদুর রহিম হারমাছি প্রধান অর্থনৈতিক প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Oct 2020, 05:04 PM
Updated : 4 Oct 2020, 05:04 PM

বাংলাদেশ ব্যাংক বৃহস্পতিবার অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর হালানাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস অগাস্ট শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ১ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা, যা গত বছরের অগাস্টের চেয়ে ৯ দশমিক ৩৬ শতাংশ বেশি। আগের মাস জুলাইয়ে এই প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৯ দশমিক ২০ শতাংশ।

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৬১ শতাংশে নেমে এসেছিল। এরপর পর পর দুই মাস অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচকে প্রবৃদ্ধির ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত থাকল।

২০১৯ সালের অগাস্ট শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৭ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, টানা প্রায় ১০ বছর বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবৃদ্ধি দুই অঙ্ক বা ১০ শতাংশের উপরে ছিল। তবে ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরের পর গত বছরের নভেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো তা ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে নেমে আসে। ধারাবাহিকভাবে এই প্রবৃদ্ধি কমতে কমতে গত এপ্রিলে ৯ শতাংশের নিচে নেমে আসে।

ওই মাসে বেসরকারি ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৮২ শতাংশে নেমে যায়। গত জুনে তা আরও কমে ৮ দশমিক ৬১ শতাংশে নেমে আসে।

২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে ১৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ।

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। গত অর্থবছরের মুদ্রানীতিতেও এই একই লক্ষ্য ধরা ছিল, বিপরীতে ঋণ বেড়েছিল ৮ দশমিক ৬১ শতাংশ।

কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় সরকার সোয়া লাখ কোটির টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল, সেগুলোর বাস্তবায়নে গতি আসায় বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতির গবেষক ও ব্যাংকাররা।

ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মহামারীর ধাক্কা আস্তে আস্তে কাটতে শুরু করেছে। রেমিটেন্স, রপ্তানি আয়ের পাশপাশি অর্থনীতির অন্যান্য সূচকগুলোও ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ পাচ্ছেন উদ্যোক্তারা।

“সব মিলিয়ে অর্থনীতির চাকা সচল হতে শুরু করেছে। তাই বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহের প্রবৃদ্ধিও বাড়ছে।”

২০০৭-০৮ মেয়াদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিনিয়োগ বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান নিয়ামক হচ্ছে বেসরকারি ঋণ। সেই ঋণ যদি না বাড়ে তাহলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে না। আর বিনিয়োগ না বাড়লে কর্মসংস্থান হবে না। অর্থনীতিতে গতি সঞ্চার হবে না। কাঙ্ক্ষিত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে না।

“বেশ কিছু দিন ধরে দেশে বিনিয়োগে স্থবিরতা চলছে। করোনাভাইরাসের কারণে তা আরও নাজুক হয়েছিল। এখন ভালো খবর যে, নতুন অর্থবছরের শুরুটা ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দিয়ে শুরু হল। আমরা প্রত্যাশা করব, আগামী দিনগুলোতেও যেন এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির বড় কারণ হচ্ছে প্রণোদনা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চাপ থাকায় ঋণ বিতরণ বাড়ছে। আবার ব্যাংকগুলোর হাতে উদ্বৃত্ত টাকা থাকায় ব্যাংকাররাও চাচ্ছেন ঋণ বাড়ুক। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোও ঘুরে দাঁড়াতে নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। অর্থনীতির জন্য এটা ভালো খবর। তবে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।”

“আর এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে এক খাতের নামে ঋণ নিয়ে অন্য খাতে যেন ব্যবহার না হয়- সে বিষয়টির দিকে কড়া নজর রাখতে হবে।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ খালেদ অবশ্য একটু ভিন্ন ধরনের কথা বলেছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি, “এ যে সহজ শর্তে, কম সুদে ঋণ দেওয়া হচ্ছে, সেগুলো যেনো যথাসময়ে আদায় হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যারা ঋণ নিচ্ছে, তারা যেনো মনে না করে, প্রণোদনার ঋণ আর ফের দিতে হবে না।

“এমনিতেই আমাদের ব্যাংকগুলোর অবস্থা খারাপ। খেলাপি ঋণ লাগামহীন। এরপর যদি প্রণোদনা ঋণ আদায় না হয়, খেলাপি হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু ব্যাংকিং খাতে বিপর্যয় নেমে আসবে।”

গত ২৮ সেপ্টেম্বর ঋণ খেলাপিদের আরেক দফা সুবিধা দিয়েছে সরকার; ডিসেম্বর পর্যন্ত কিস্তি না দিলেও খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হতে হবে না।

অর্থাৎ ২০২০ সাল জুড়েই কোনো ঋণের কিস্তি না দিলেও খেলাপি হতে হবে না কোনো উদ্যোক্তাকে।

ঋণ খেলাপিদের এই সুবিধা দেওয়ার সিদ্ধান্তে হতাশা ও উষ্মা প্রকাশ করে ইব্রাহিম খালেদ বলেন, “কী আর বলবো…! কী হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে? কেন্দ্রীয় ব্যাংক কী করছে কিছুই বুঝতে পারছি না আমি। ব্যাংকিং খাতে যে এক ধরনের অরাজকতা চলছে, এটা তারই নিদর্শন।

“এরপর একটার পর একটা এ ধরনের অযৌক্তিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে ব্যাংকিং খাত তথা আর্থিক খাতকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।”

গত ২৯ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০-২১ অর্থবছরের যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে, তাতে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ; যার মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য হচ্ছে যথাক্রমে ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ ও ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ।

বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি সরকারি খাতের তুলনায় কম দেখালেও টাকার অংকে বেসরকারি খাতের জন্য প্রক্ষেপিত মোট ঋণের পরিমাণ সরকারি খাতের তুলনায় অনেক বেশি হবে। চলমান করোনাভাইরাস মহামারীতে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং সরকার কর্তৃক নির্ধারিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন বিনিয়োগ জোরদার করতে বেসরকারি খাতে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ ঋণ প্রবৃদ্ধি পর্যাপ্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, অগাস্ট মাস শেষে দেশে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৩৯৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ হচ্ছে ১১ লাখ ১ হাজার ৬৭৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা। সরকার নিয়েছে এক লাখ ৯৫ হাজার ১৮৭ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

গত বছরের অগাস্ট শেষে মোট অভ্যন্তরীণ ঋণের পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ৭০ হাজার ১৭৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যার মধ্যে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ লাখ ৭ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। আর সরকারের ঋণ ছিল এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

এ হিসাবে অগাস্ট শেষে অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। সরকারি ঋণের ৪১ দশমিক শূণ্য ৫ শতাংশ, আর বেসরকারি খাতের ৯ দশমিক ৩৬ শতিাংশ।

কিছু ব্যাংকের আগ্রাসী বিনিয়োগের কারণে দুই বছর আগে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে ঋণ প্রবৃদ্ধি। ওই পরিস্থিতিতে ২০১৮ সালের শুরুতে বেসরকারি ঋণপ্রবাহের লাগাম টানতে ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত (এডিআর) কিছুটা কমিয়ে আনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এরপর থেকে ঋণ প্রবৃদ্ধি কমতে থাকে। এর মধ্যে কয়েক দফা এডিআর সমন্বয়ের সীমা বাড়ানো হলেও ঋণ প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী ধারা অব্যাহত ছিল।

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করছে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রণোদনা প্যাকেজের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন নির্দেশনা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন পর্যন্ত শতাধিক নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। গঠন করা হয়েছে প্রায় ৫১ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল। কমানো হয়েছে নগদ জমা সংরক্ষণের হার (সিআরআর), নীতি সুদহার রেপো ও ব্যাংক রেট।

প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণসুবিধা নিয়ে যাতে ব্যবসা-বাণিজ্য যথা সময়ে শুরু করা যায়, সেজন্য সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তাদের ঋণ বিতরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মহামারী মোকাবেলায় এখন পর্যন্ত সোয়া লাখ কোটি টাকার যে ২০টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, তার মধ্যে বড় শিল্প ও সেবা খাতে ৩৩ হাজার কোটি টাকা এবং কটেজ মাইক্রো ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে (সিএমএসএমই) ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল অন্যতম। এই দুই তহবিলের জন্য ২৫ হাজার কোটি টাকা (১৫ হাজার ও ১০ হাজার কোটি টাকা) যোগান দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ব্যাংকগুলো সরকারের ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের প্রায় ৫৪ শতাংশ বা ৪৬ হাজার ২৫২ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। তবে এই প্যাকেজের আওতায় বড়দের ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে ব্যাংকগুলো বেশ সক্রিয় থাকলেও ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএমএসএমই) এবং প্রাক্-জাহাজীকরণ পুনঃ অর্থায়ন কর্মসূচি খাতে ঋণ বিতরণে তারা এখনো পিছুটানে রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক চিঠি, নোটিশ ও তদারকি বাড়িয়েও এসব খাতে ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণে গতি বাড়াতে পারছে না।

এ প্রসঙ্গে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ছোটদের ঋণ বিতরণে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। এরপরও ঋণ সেভাবে বাড়ছে না। ঋণ পেতে গ্রাহকদেরও এগিয়ে আসতে হবে।”

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সেবা খাতের ৩৩ হাজার কোটি টাকার মধ্যে ইতোমধ্যে ২৫ হাজার ৬৪৭ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে।

তবে কুটির, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতের জন্য বরাদ্দ করা ২০ হাজার কোটি টাকার মধ্যে এখন পর্যন্ত বিতরণ হয়েছে মাত্র ২০ দশমিক ৫৬ শতাংশ বা ৪ হাজার ১০৩ কোটি টাকা। এই ঋণ পেয়েছে ১১ হাজার ১৮৩টি প্রতিষ্ঠান। এই খাতে পুরো ঋণ বিতরণের জন্য চলতি অক্টোবর মাস পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

একইভাবে প্রান্তিক কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ৩ হাজার কোটি টাকার ঋণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল। ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলোর মাধ্যমে প্রান্তিক পর্যায়ে ৯ শতাংশ সুদে ঋণ দিতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে বিতরণের হার ৩৬ শতাংশ। ঋণ পেয়েছেন ১৪ হাজার ৯৫৬ জন প্রান্তিক মানুষ।

কৃষকদের জন্য নেওয়া প্রণোদনা প্যাকেজেও আগ্রহ দেখাচ্ছে না ব্যাংকগুলো। ফলে ৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৯৫ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে। ঋণ পেয়েছেন ৪৬ হাজার ৮০৪ জন কৃষক।

প্রাক্-জাহাজীকরণ পুনঃ অর্থায়ন খাতে ৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ১ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে।

এই অবস্থায় সরকারি ব্যাংকগুলো অর্থ মন্ত্রণালয়কে, আর বেসরকারি ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংককে আশ্বাস দিয়েছে, অক্টোবরের মধ্যে পুরো ঋণ বিতরণ করা হবে। কিন্তু এই খাতে পাঁচ মাসে ২০ দশমিক ৫৬ শতাংশ ঋণ দেওয়ার পর কীভাবে এক মাসে বাকি ৮০ শতাংশ ঋণ বিতরণের লক্ষ্য অর্জিত হবে, এটা বিস্ময়কর।

এ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একটা বিষয় আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে। প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বড় উদ্যোক্তারা ঋণ পেলেও ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তারা কিন্তু এখনও কাংখিত সহায়তা পায়নি। সবাই যাতে সমানভাবে সরকারের প্রণোদনার অর্থ পায়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে। তানাহলে মহামারী মোকাবেলা করা কঠিন হবে। অর্থনীতির চাকা আগের অবস্থায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।”