পদ্মা সেতুর রেল সংযোগের ১৪ স্টেশনে বসবে ‘সোলার প্যানেল’

বিদ্যুতের ব্যয় সাশ্রয়ের জন্য পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের ১৪টি স্টেশনে সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপন বসানো হবে।

সংসদ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Sept 2020, 12:39 PM
Updated : 29 Sept 2020, 12:39 PM

মঙ্গলবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হলে মন্ত্রণালয় তা মেনে নেয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, “পদ্মা সেতু প্রকল্পের রেল স্টেশনগুলোতে সোলার প্যানেল স্থাপনের সুপারিশ করা হয়। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এই সুপারিশ করা হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা এটি বাস্তবায়ন করবে।”

ফজলে করিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, আসাদুজ্জামান নূর, মো. শফিকুল আজম খাঁন, মো. সাইফুজ্জামান, গাজী মোহাম্মদ শাহ নওয়াজ ও নাদিরা ইয়াসমিন জলি অংশ নেন।

ফাইল ছবি

সংসদীয় কমিটির বৈঠকের কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নেট মিটারিং নির্দেশিকা -২০১৮ অনুযায়ী রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে প্রাথমিকভাবে ‘রুফটপ সোলার সিস্টেম’ স্থাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন স্টেশন, জংশন ও ওয়ার্কশপে সৌরবিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনের প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জরিপের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব প্রাপ্তি সাপেক্ষে উভয় অঞ্চলের স্টেশন এলাকায় সৌর বিদ্যুৎ প্যানেল স্থাপনের বিষয়টি বাংলাদেশ রেলওয়ের সক্রিয় বিবেচনাধীন রয়েছে ।

৩০ হাজার কোটি টাকায় ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে একইসঙ্গে ট্রেনও চলবে। মূল সেতুর কাজটি সেতু বিভাগের অধীনে বাস্তবায়িত হলেও রেল সংযোগ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রেল বিভাগ।

ঢাকা থেকে পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ভাঙ্গা, নড়াইল হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেল সংযোগ প্রকল্প চীনের সহযোগিতায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড (সিআরইসি) প্রকল্পটির কাজ করছে।

বিশাল রেল সংযোগ প্রকল্পটির ব্যয় প্রায় ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর মধ্যে ২১ হাজার ৩৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা ঋণ দিচ্ছে চীন।

সম্প্রতি পদ্মা সেতুর জাজিরা পয়েন্টে রেল সংযোগ লাইন নির্মাণ ত্রুটি পেয়ে আপত্তি দিয়েছে মূল পদ্মা সেতু প্রকল্প কর্তৃপক্ষ।

মুল সেতু প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, জাজিরা পয়েন্টে নির্মিত রেললাইন যে উচ্চতায় হচ্ছে, তাতে সংযোগ সড়ক দিয়ে সেতুতে ওঠার সময় লরি আটকে যাবে।

একটি পিলারের কারণে এই সমস্যা হয়েছে জানিয়ে রেল প্রকল্পের কর্মকর্তারা বলছেন, ওটা ঠিক করার জন্য নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানকে বলা হচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কাজ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় ২০২২ সালের আগে নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না বলে গত মাসে জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।