মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী মান্নান বলেন, “বৈঠকে একটি প্রকল্পের আলোচনাকালে প্রধানমন্ত্রী বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যারা যেখানেই যে কর্তৃপক্ষ বা সংস্থার দায়িত্বে আছেন তাদের অন্যতম একটি প্রধান দিকে হবে এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
“হতে পারে এটা সিইটিপি অথবা মাটির নিচে পুঁতে দিলে সেই বর্জ্য আবার মাটি হয়ে যায়। কিন্তু প্লাস্টিক, ক্যামিকেল, মেটাল জাতীয় বর্জ্যের ব্যবস্থাপনা স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে করতে হবে।”
বাংলাদেশ আঞ্চলিক অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহণ প্রকল্প-১ (চট্টগ্রাম-ঢাকা-আশুগঞ্জ ও সংযুক্ত নৌপথ খনন এবং টার্মিনালসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ) শীর্ষক প্রকল্প নিয়ে আলোচনায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই কর্তৃপক্ষ এবং অন্যান্য কর্তৃপক্ষ তারা যেন বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উচ্চ প্রাধান্য দেন। এটা করতে পানি সম্পদ ও নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন আছে। অনেক সময় আমাদের মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা যায়- আমি অস্বীকার করব না। এটাকে জোরদার করতে হবে।
বাস, নৌ, বিমান বা যে কোনো স্টেশনের বর্জ্য সঠিকভাবে অপসারণের নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী। এ কাজে যেসব সংস্থা কর্তৃপক্ষ দায়িত্বে আছেন তাদের সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
“প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নৌ-পথের বর্জ্য অপসারণে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছেন, কৃষিজমি রক্ষায় যেখানে সেখানে শিল্পস্থাপন করা যাবে না। অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপন করতে হবে, যেখানে গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ রাস্তাসহ সবধরনের সুবিধা রয়েছে,” বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান।