বুধবার মেট্রোরেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে একথা জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পর গত মার্চের শেষ দিকে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করলে সব উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ থমকে যায়। গত জুন মাস থেকে জনজীবন সচল হতে শুরু করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “নানা চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করে মেট্রোরেলের কাজ এগিয়ে যাচ্ছিল, হঠাৎ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে উন্নয়ন কাজের ব্যাঘাত ঘটে।
“এখন বিদেশি জনবল আসতে শুরু করেছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের জন্য প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে।”
মেট্রোরেল সংশ্লিষ্টদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দুটি হাসপাতাল নির্মাণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উত্তরার পঞ্চবটী কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ১৪ শয্যাবিশিষ্ট এবং গাবতলীর কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ১০ শয্যার হাসপাতাল দুটি নির্মাণ করা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “সংশ্লিষ্টদের করোনা শনাক্ত হলে কিংবা উপসর্গ থাকলে প্রকল্প এলাকায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনাকালে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের প্রকল্প এলাকায় আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
প্রকল্পে যারা কাজ করছেন, তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান মন্ত্রী।
ভার্চুয়াল এই সভায় সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম, ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক ও প্রকল্প পরিচালকরা যুক্ত ছিলেন।