চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত এ তহবিল থেকে ঋণ পাবেন কৃষকরা। আগে এ সময়সীমা ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
রোববার এ বিষয়ে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এক সার্কুলারে বলা হয়, “কৃষি খাতে বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন স্কিমটি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণ বিতরণের সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হল।”
মহামারীর ক্ষতি সামলে উঠতে এক লাখ ১১ হাজার ১৩৭ কোটি টাকার মোট ২০টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।
এ সব প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে বড় বড় উদ্যোক্তারা ঋণ পেলেও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা ও কৃষকের ঋণ বিতরণের পরিমাণ এখনও কম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৪ শতাংশ সুদে কৃষকদের জন্য পাঁচ হাজার কোটি টাকার ঋণের মধ্যে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচশ কোটি টাকাও বিতরণ হয়নি।
কৃষি ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং সোনালী ব্যাংক ছাড়া অন্য কোনো ব্যাংক এই প্রণোদনার ঋণ বিতরণ করেনি।
ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প এবং মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) জন্য সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করে ঋণ বিতরণের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল অগাস্ট পর্যন্ত। এর মধ্যে আশানুরূপ ঋণ বিতরণ না হওয়ায় এ সময়সীমা দুই মাস বাড়িয়ে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে বড় উদ্যোক্তাদের জন্য (শিল্প ও সেবা খাত) ৩৩ হাজার কোটি টাকার যে প্রণোদনা তহবিল ছিল, তা অগাস্ট মাসের মধ্যেই বিতরণ শেষ হয়ে গেছে।