আর এজন্য মূল কৃতিত্ব তিনি দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীকে। মুস্তফা কামালের ভাষায়, ‘অসম্ভব’ কর্মদক্ষতা নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার পথে চলেছেন শেখ হাসিনা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অর্থমন্ত্রী বলেছেন, মহামারী শুরুর পর প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা, এরপর শিল্পোৎপাদন চালু করা সবই ছিল ‘সময়োপযোগী’ পদক্ষেপ।
“পুরো দেশ এখন এর সুফল পাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্র ভালো করছে। প্রত্যেকটি খাত উড়ন্ত অবস্থায় আছে। সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী। কোনো দেশেই এ অবস্থা খুঁজে পাওয়া যাবে না,” বলেছেন মুস্তফা কামাল।
প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় তিনি বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোনার বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিছু অমানুষ তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দেয়নি।
“পিতার মতোই দেশের মানুষকে ভালোবেসে এই দেশটাকে ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ার নেশায় রয়েছেন শেখ হাসিনা। শুধু আমি নয়, দেশের মানুষও এখন দেখতে পাচ্ছেন, বাংলাদেশকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে কাজ করে যাচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।”
মহামারীর এই সময়ে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, ব্যাংক খাত ও পুঁজিবাজারসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন অর্থমন্ত্রী।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম: এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি বলেছে, করোনাভাইরাস মহামারীর ধাক্কা সামলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আর এ কারণেই চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়তে পারে। এর নেপথ্যের শক্তিটা কী?
মুস্তফা কামাল: সম্প্রতি প্রকাশিত ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে’ এডিবি গত দুই মাসের কার্যক্রম বা পারফরম্যান্স থেকে চলতি অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে বলে প্রাক্কলন করেছে।
এডিবির প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে আছে শুধু বাংলাদেশ, চীন ও ভিয়েতনাম। ২০২০ সালে বাংলাদেশের যে অর্জন, আমি মনে করি এটিই বড়ভাবে দেখা যেতে পারে। কারণ, এটা আমাদের জন্য ঐতিহাসিক বছর। এবছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী। এই দেশের মানুষ যথাযথভাবে জাতির পিতাকে বিশ্ব দরবারে আরও আলোকিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কামার, কুমার, তাঁতি, জেলে, চাষি, ব্যবসায়ী, বিজ্ঞানীসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষই কাজ করছেন। এজন্য দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে আমি কৃতজ্ঞতা জানাই।
মানুষকে যতটা সম্ভব দ্রুত কাজে ফেরার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অর্থনীতি সচল রাখতে করোনাভাইরাসের প্রকোপের শুরুতেই এক লাখ দশ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। যখন প্রধানমন্ত্রী এই পণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন, তখন আমাদের কাছে অবিশ্বাস্য মনে হয়েছিল। পুরো দেশ এখন এর সুফল পাচ্ছে। সামষ্টিক অর্থনীতির প্রতিটি ক্ষেত্র ভালো করছে। প্রত্যেকটি খাত উড়ন্ত অবস্থায় আছে। সামনের দিকে যাচ্ছে। সব সূচকই ঊর্ধ্বমুখী। কোনো দেশেই এ অবস্থা খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আমি জোর দিয়ে বলতে পারি, সবকিছু মিলিয়ে ভালোভাবেই বাংলাদেশ। সামনে আরও সুন্দর দিন অপেক্ষা করছে। বঙ্গবন্ধু যা করে যেতে পারেননি, সেগুলো করার জন্য তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করছেন। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) সোনার বাংলা নির্মাণের মাধ্যমে সুবর্ণরেখা স্পর্শ করবেন।
আমাদের শক্তি হচ্ছে, এদেশের মানুষ। শেখ হাসিনা এই মানুষকে ভালোবেসে, গাইডলাইন দিয়ে একদম সামনে থেকে লিড দিয়ে সামনে নিয়ে যাচ্ছেন।
এই যে, মহামারী করোনাভাইসের ধাক্কা সামলে আমাদের অর্থনীতি ঘুঁরে দাঁড়িয়েছে; অর্থনীতির সবগুলো সূচক এখন উর্ধ্বমুখী। কোভিড-১৯ এর আঘাতে পৃথিবীর বড় বড় দেশের অর্থনীতি যেখানে তছনছ হয়ে গেছে। আমরা সেখানে সাহসের সঙ্গে মোকাবেলা করে মাথা উঁচু করে ঘুরে দাঁড়িয়েছি। আর এটা সম্ভব হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম: চলতি অর্থবছরের বাজেটে আপনি জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরেছেন ৮ দশমিক ২ শতাংশ। এডিবি বলছে, ৬ দশমিক ৮ শতাংশ হবে। তাহলে কি এবার লক্ষ্য অর্জিত হবে না?
মুস্তফা কামাল: এডিবি কিন্তু দুই মাসের (জুলাই-অগাস্ট) পারফরমেন্স দেখে এই পূর্বাভাস দিয়েছে। এডিবি এও বলেছে যে, আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে। আমরা যদি অর্থবছরের বাকি ১০ মাস ভালোভাবে চলতে পারি, তাহলে অবশ্যই বাজেটে ধরা লক্ষ্য ৮ দশমিক ২ প্রবৃদ্ধি শতাংশ অর্জন করতে পারব।
এখানে একটা কথা আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, দেশের মানুষ আত্মনিবেদিত হয়ে এবং আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যার যতটা সুযোগ আছে, সেখান থেকেই এ দেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করছে। এতে দেশের অর্থনীতি আরও অনেক ওপরে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সারা দেশের মানুষ কাজ করে চলেছে। ফলে আমি মনে করি, জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ শতাংশের বেশি হবে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম: দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আশার কথা শোনাচ্ছেন আপনি। সত্যিই কি অর্থনীতিতে স্বস্তি ফিরে এসেছে?
মুস্তফা কামাল: গত কয়েক বছর ধরেই আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেশ ভালো। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমরা ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি। তার আগের বছরগুলোতেও ৭ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। কোভিড-১৯ এর কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ জিডিপি অর্জিত হবে বলে আমাদের পরিসংখ্যান ব্যুরো প্রাথমিক তথ্য দিয়েছে।
এই রেমিটেন্সে দেশে লাখ লাখ পরিবার চলছে। ছোট ছোট ব্যবসা হচ্ছে। রেমিটেন্স আরও বাড়বে। কারণ সরকার এ ক্ষেত্রে প্রণোদনার মাধ্যমে পাঠানোর খরচ দিয়ে দিচ্ছে। এছাড়া রেমিট্যান্স পাঠাতে যে ফরম পূরণ করতে হয়, তা সহজ করা হয়েছে।
এখানে আরেকটি কথা আমি বলতে চাই, আমি যখন পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলাম, তখনই একটা বিষয়ে আমি স্টাডি করেছিলাম, আমি হিসাব করে দেখেছিলাম, দেশে সবমিলিয়ে ৩৪-৩৫ বিলিয়ন ডলারের মতো রেমিটেন্স দেশে আসতো। এর মধ্যে অর্ধেকেরও কম ১২ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার আসতো ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বৈধ পথে। বাকিটা আসতো হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধ পথে।
এখন ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেওয়ার কারণে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরিমাণ অনেকটা কমেছে। এটাকে একেবারে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার চেষ্টা করছি আমরা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম: অর্থনীতির আরেক গুরুত্বপূর্ণ সূচক বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভও বেশ সন্তোষজনক অবস্থায় রয়েছে। রিজার্ভ কি আরও বাড়বে বলে আপনার মনে হয়?
মুস্তফা কামাল: আমাদের আরেকটি স্বস্তির বিষয় হচ্ছে রিজার্ভ। মূলত রেমিটেন্সের উপর ভর করেই বর্তমানে আমাদের রিজার্ভ ৩৯ বিলিয়ন ডলারের উপরে অবস্থান করছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই এই রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলারে যাবে বলে আমি আশা করছি।
আর যে পরিমাণ রেমিটেন্স আসছে এবং পেট্রোলিয়ামের দাম কমার কারণে আমদানি খরচ যতটা কমছে, তাতে পরবর্তী এক বছরের মধ্যে রিজার্ভ ৫০ বিলিয়ন ডলারও ছাড়াবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম: প্রধানমন্ত্রী রিজার্ভ বিনিয়োগে নিয়ে আসার কথা বলেছেন। এ বিষয়ে কী ধরনের চিন্তাভাবনা করছেন?
মুস্তফা কামাল: প্রধানমন্ত্রীর কথা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে আমরা সরকারি প্রকল্পে রিজার্ভ থেকে অর্থায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিদ্যুৎ সঞ্চালন ও বিতরণের মতো প্রকল্পে এই অর্থ বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছি। বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রার ঋণ নিলে ৪ থেকে ৫ শতাংশ সুদ দেওয়া লাগে। অন্যদিকে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিদেশে বিনিয়োগ করলে এক থেকে দেড় শতাংশের বেশি সুদ পাওয়া যায় না। ফলে এই অর্থ সরকার ব্যবহার করলে রাষ্ট্রেরই লাভ।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম: অর্থনীতির অন্যান্য সূচকগুলোর সম্পর্কে কিছু বলবেন?
মুস্তফা কামাল: আমি যখন অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব নিই, তখন বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবের ভারসাম্য (ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট) ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি নেতিবাচক ছিল। এখন তা ২ বিলিয়ন ডলার ইতিবাচক। কোভিড-১৯ এর কারণে আমাদের রপ্তানি আয়ে ধাক্কা লেগেছিল, সেটা কেটে গেছে। জুলাই-অগাস্ট সময়ে ২ দশমিক ১৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। মহামারীর ধাক্কা সামলে উঠতে আমাদের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মতো প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দ্রুত এই বিচক্ষণ ঘোষণা, রপ্তানি বাণিজ্য দ্রুত ঘুঁরে দাঁড়াতে সহায়তা করেছে বলে আমি মনে করি।
অন্য সূচকগুলোর মধ্যে বরাবরের মতোই আমরা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রেখেছি। প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের ফলে বিনিয়োগেও গতি ফিরে এসেছে। আর আমদানির বিষয়ে তো আমি বলেছি, জ্বালানি তেলে কম দাম আমাদের স্বস্তির মধ্যে রেখেছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম: কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলার জন্য আর কোনো প্রণোদনা বা নীতি-সহায়তা ঘোষণা করা হবে কি না?
মুস্তফা কামাল: সামষ্টিক অর্থনীতিতে করোনাভাইরাসের প্রভাব মোকাবেলায় বিনিয়োগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ানোই আমাদের লক্ষ্য। বিনিয়োগ বাড়লে কর্মসংস্থান বাড়বে। এজন্য প্রয়োজনীয় মূলধন জোগান দিতে সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখা হবে। গত এপ্রিল থেকে ব্যাংক ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন হচ্ছে। অর্থনীতির গতিশীলতার জন্য অনেক আগে থেকেই মুদ্রানীতি সম্প্রসারণমূলক রয়েছে। সুতরাং ভাবার কোনো কারণ নেই, একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ বিনিয়োগ হয়ে গেছে, ফলে আর নতুন বিনিয়োগ হবে না। অর্থনীতিতে গতি আনতে আরও নীতি-সহায়তা প্রয়োজনা হলে অবশ্যই দেওয়া হবে।
এখানে আরেকটি বিষয় বলে রাখা খুবই প্রয়োজন বলে আমি মনে করছি। এই যে, ৯ শতাংশ সুদহার বাস্তবায়ন হয়েছে, এটার পুরো কৃতিত্ব কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রধানমন্ত্রী মনে করেন, শিল্পায়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা অর্জন করতে সুদহার কমাতে হবে। নতুবা আমরা কারোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকব না। এজন্য ব্যাংক ঋণের সুদহার কমানোও প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ছিল। যার সুফল এখন ব্যবসায়ী, ব্যাংক সবাই পাচ্ছে।
অনেকেই বলেছিল, ব্যাংক এই সুদহারে কাজ করতে পারবে না। আমি বলেছিলাম, লোকসান হবে না। কারণ ১৪ বা ১৫ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে বছর শেষে বড় অঙ্কের রাইট অফ করতে হচ্ছে। কম সুদে কম আয় করলেও নিট আয় বেশি থাকবে, যদি রাইট অফ করতে না হয়।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম: রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর তো কোনো উন্নতি হচ্ছে না। সার্বিক ব্যাংক খাত নিয়ে কিছু বলবেন?
মুস্তফা কামাল: আমি আসার আগে প্রত্যেকটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে প্রতি বছর সুন্দরভাবে মূলধন সরবরাহ করা হত। মূলধন না দিলে তারা চলতে পারত না। আমি তাদের সঙ্গে একটা সভা করে সুস্পষ্টভাবে বলেছি, মূলধন আর সরবরাহ করা হবে না। উপার্জন বাড়িয়ে নিজেদের তহবিলে চলতে হবে।
এখন আর কাউকে টাকা দিতে হচ্ছে না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো মুনাফা করছে। বেসরকারি ব্যাংকগুলো প্রত্যেকটি মুনাফা করছে। ব্যাংকগুলোকে এখন আর তহবিল নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে না।
খেলাপি ঋণ কমানোরও নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, ইতিবাচক ফল পাওয়া যাবে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম: দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে খারাপ অবস্থা চলছিল। সবাইকে অবাক করে দিয়ে এই মহামারীর মধ্যে বাজার ইতিবাচক ধারায় ফিরতে শুরু করেছে। এর পেছনে কী কারণ দেখছেন আপনি?
মুস্তফা কামাল: পুঁজিবাজার এখন অনেক শক্তিশালী। অন্য সময় ব্যাংক থেকে টাকা না দিলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে আসত না। এখন কিন্তু রেমিটেন্সের টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ হচ্ছে। পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে।
এটি অর্থনীতির আরেকটি খাত, যেখানে অনেক মানুষ সম্পৃক্ত। ২০১৯ সালের শুরুর তুলনায় লেনদেন এখন দ্বিগুণ হয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিএসইসিকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসছে। আশা করছি, একটি ভালো পুঁজিবাজার আমরা দেখতে পাব।