ফ্রন্টডেস্কের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৫ কোটি টাকা ভ্যাট ফাঁকির মামলা

খ্যাতনামা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরামর্শক হিসেবে কাজ করা ফ্রন্টডেস্ক বাংলাদেশ লিমিটেড নামের একটি মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির বিরুদ্ধে ১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ভ্যাট ফাঁকির অভিযোগে মামলা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Sept 2020, 03:32 PM
Updated : 16 Sept 2020, 03:32 PM

বুধবার ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তর ফ্রন্টডেস্কের বিরুদ্ধে এই বিপুল রাজস্ব ফাঁকির মামলা করেছে। 

গত ১০ অগাস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভ্যাট গোয়েন্দা দল রাজধানীর বারিধারায় অবস্থিত ফ্রন্টডেস্কের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কম্পিউটার ও ব্যবসার কাগজপত্র জব্দ করে।

ভ্যাট গোয়েন্দা অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি দেশের খ্যাতনামা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে টেকনিক্যাল ও সাধারণ মানবসম্পদ সেবা বিক্রি করে থাকে। ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানটি এই সেবা বিক্রি করে আসছে।

“ভ্যাট ফাঁকির গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার একটি দল ১০ আগস্ট বারিধারার অফিসে অভিযান চালায়। এতে ভ্যাট আইনের ৮৩ ধারা প্রয়োগে তাদের প্রাঙ্গণের নিজস্ব কম্পিউটার ও সংরক্ষিত বাণিজ্যিক কাগজপত্র জব্দ করা হয়।

“এসব তথ্যাদি যাচাই করে দেখা যায়, ফ্রন্টডেস্ক প্রকৃত সেবা বিক্রয় মূল্য গোপন করে নামমাত্র সেবা মূল্য তাদের ভ্যাট রিটার্নে প্রদর্শন করে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে।”

ভ্যাট গোয়েন্দার তদন্তে দেখা যায়, ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই ২০২০ পর্যন্ত ৩২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার সেবা বিক্রি দেখানো হয়েছে। এর বিপরীতে তারা ভ্যাট দিয়েছে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

তবে জব্দ করা কাগজপত্র অনুযায়ী ফ্রন্টডেস্ক প্রকৃত সেবা বিক্রি করেছে ১২৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এই বিক্রির উপর ভ্যাট দেওয়ার কথা ১৯ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।

“মানবসম্পদ ব্যবস্থপনা প্রতিষ্ঠানটি এই পাঁচ বছরে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে ১৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। ভ্যাট আইন অনুসারে যথাসময়ে ভ্যাট না দেওয়ায় এই ফাঁকির উপর মাসিক ২ শতাংশ হারে সুদ প্রযোজ্য হয়েছে ৫ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মোট ২১ কোটি ৪৯ লাখ টাকা আদায়যোগ্য।”

এই ভ্যাট ফাঁকির দায়ে ন্যায় নির্ণয়নের মাধ্যমে এই রাজস্বের অতিরিক্ত সমপরিমাণ ব্যক্তিগত জরিমানা আরোপ হতে পারে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশের নামিদামি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এই কোম্পানির  গ্রাহক। এদের মধ্যে রয়েছে মাইক্রো বাংলাদেশ লিমিটেড, ফিনটেক সলিউশন লিমিটেড, বার্জার পেইন্টস লিমিটেড, নোভার্টিস বাংলাদেশ লিমিটেড, পিএন্ডজি বাংলাদেশ লিমিটেড, অপসোনিন ফার্মা লিমিটেড, লাফার্জ হোলসিম, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেড, রবি আজিয়াটা লিমিটেড, জুটন বাংলাদেশ লিমিটেড, এপিএম গ্লোবাল লজিস্টিক লিমিটেড, এমএনএস বাংলাদেশ।