দেশি মাছের উৎপাদন বাড়াতে ২০২ কোটি টাকার প্রকল্প

দেশি মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ২০২ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Sept 2020, 01:54 PM
Updated : 15 Sept 2020, 01:59 PM

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয় বলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন।

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভা পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

দেশে মাছের চাহিদা পূরণ করতে দেশি মাছ এবং জলজ প্রাণি রক্ষা করতে বৈঠকে ‘দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

দেশি মাছের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্দেশ্যেই এই প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী।

দুই দশক আগেও বাংলাদেশের গ্রামের হাট-বাজারে দেশি মাছের রমরমা ছিল, এখন সেখানে পাওয়া যায় চাষের রুই-কাতলা, পাঙ্গাস ও তেলাপিয়া।

এ সময় মন্ত্রীর অনুরোধে পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ প্রকল্প সম্পর্কে আলোচনা করেন।

তিনি বলেন, দেশের দক্ষিণ ও মধ্যপশ্চিম অঞ্চলের খাল বিল, প্লাবনভূমি, নদী ও বাঁওড় সমৃদ্ধ অঞ্চল যেখানে অধিকাংশ জলাশয় বছরের চার থেকে আট মাস পর্যন্ত এবং কিছু জলাশয়ে সারা বছর পানি থাকে। এসব এলাকায় দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ বিস্তার ও বৃদ্ধির উপযোগী পরিবেশ থাকায় এক সময় দেশি কৈ, শিং, মাগুর, শোল, টাকি, রয়না, সরপুঁটি এবং টেংরা ও বাইনসহ আরও অনেক ধরনের মাছে ভরপুর ছিল। কিন্তু খাল বিল, নদী নালা ভরাট, বেশি হারে মাছ ও শামুক ধরা, কীটনাশক ব্যবহার, অপরিকল্পিত বেড়িবাঁধ নির্মাণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে দেশীয় মাছ ক্রমেই হ্রাস পাচ্ছে। অথচ জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে চাহিদা বাড়ছে। তাই দেশীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।

তিনি বলেন, প্রকল্প এলাকায় অভ্যন্তরীণ জলাশয়ের মাছের উৎপাদন ৪ লাখ ৪৬ হাজার টনে উন্নীত করা হবে। বর্তমানে দেশীয় মাছ উৎপাদন হচ্ছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার টন।

প্রতিমন্ত্রী মান্নান বলেন, এই প্রকল্পটি নতুন হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। বৈঠকে আরও তিনটি প্রকল্পের সংশোধনী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই চার প্রকল্পের জন্য ৬৩৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকার ব্যয় অনুমোদন করা হয়েছে। এরমধ্যে ৯৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়তা থেকে পাওয়া যাবে। বাকি ব্যয় সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেওয়া হবে।

বৈঠকে অনুমোদন পাওয়া অন্য প্রকল্পগুলো হল-

>> আরবান রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট (ইউআরসি) রাজউক (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। এতে ব্যয় বাড়ছে ১০৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।

>> রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প। এতে অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে ১৪৭ কোটি ১২ লাখ টাকা।

>> বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, গাজীপুর এর অ্যাপ্রোচ সড়ক প্রশস্তকরণ ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন (২য় সংশোধিত) প্রকল্প। এর ব্যয় বাড়ছে ৭৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।