এতদিন কোনো রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি অর্থ চার মাসের (১২০ দিন) মধ্যে দেশে না আনলে (প্রত্যাবাসন) ইডিএফ থেকে ঋণ পেত না। এখন সেই সময় বাড়িয়ে দুই বছর (৭২০ দিন) করা হয়েছে।
২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়া যাবে।
বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বিদেশি মুদ্রা লেনদেনকারী সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ মহামারীর এই সময়ে রপ্তানিকারকদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চাহিদা বাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত ৭ এপ্রিল ইডিএফের আকার সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার করা হয়। সেইসঙ্গে এই তহবিলের সুদের হারও দুই শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।
এরপর ১৭ মে ইডিএফ ঋণের সীমাও বাড়ানো হয়। একজন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক এখন এই তহবিল থেকে তিন কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নিতে পারছেন। আগে সর্বোচ্চ আড়াই কোটি ডলার ঋণ পাওয়া যেত।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৫ মার্চ প্রথম দফায় পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন তাতে ইডিএফ সাড়ে তিন বিলিয়ন থেকে বাড়িয়ে পাঁচ বিলিয়ন ডলার করার কথা বলেছিলেন।
স্বাধীনতার পর বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় মাত্র ১৫ মিলিয়ন ডলার নিয়ে ইডিএফ গঠন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। দেশের রপ্তানি আয় বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সেই তহবিল বাড়তে বাড়তে এখন পাঁচ বিলিয়ন ডলার।
ব্যাক-টু-ব্যাক এলসির আওতায় কাঁচামাল আমদানি সুবিধা বাড়াতে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ, বিটিএমএ, নিট পোশাক রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএসহ অন্যান্য রপ্তানিকারক সংগঠনের সদস্যরা ইডিএফ থেকে ঋণ পেয়ে থাকেন।
ইডিএফ ঋণের সুদের হার এখন সরাসরি দুই শতাংশ। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে দিতে হবে এক শতাংশ। আর যে ব্যাংকগুলো ঋণ বিতরণ করবে তারা রাখবে এক শতাংশ।
এতদিন এই তহবিল থেকে কোনো রপ্তানিকারক ঋণ নিলে লাইবর (লন্ডন ইন্টারব্যাংক অপার রেট) এর সঙ্গে এক দশমিক পাঁচ শতাংশ যোগ করে সুদের হার নির্ধারণ করা হত। সেক্ষেত্রে লাইবর রেট প্রতিদিনই উঠানামা করায় সুদের হার তিন থেকে চার শতাংশের মতো পড়ে যেত।