বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানান।
২০২১ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), ইবতেদায়ী ও দাখিল স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই সরবরাহের দুটি দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়।
অর্থমন্ত্রী বলেন, বছরের প্রথম দিনে শিশুদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক যথাসময়ে বিনামূল্যে বিতরণের জন্য ৬ কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৭টি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য ই-জিপি পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করলে ৭৫টি লটে ৮২টি প্রতিষ্ঠানের ৮২৭টি দরপত্র জমা পড়ে এবং ৮২৪টি দরপত্র ‘রেসপনসিভ’ হয়।
দরপত্র মূল্যায়নের সকল প্রক্রিয়া শেষে ৭৫টি লটের বিপরীতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৬৮ কোটি এক লাখ ৫ হাজার ৮৫৩ টাকায় ৬ কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৭ বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহে সায় দেওয়া হয়।
এছাড়া ২০২১ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন), ইবতেদায়ী, দাখিল, এসএসসি ও দাখিল ভোকেশনাল এবং কারিগরি (ট্রেড বই) স্তরের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য ২১০টি লটে আরেকটি ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়।
অর্থমন্ত্রী জানান, ১২ কোটি ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৩৮০টি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহের জন্য ই-জিপি পদ্ধতিতে দরপত্র আহবান করলে ২১০টি লটে ২ হাজার ১৩৫টি দরপত্র জমা পড়ে এবং ২ হাজার ৪৭টি দরপত্র ‘রেসপনসিভ’ হয়।
দরপত্র মূল্যায়নের সকল প্রক্রিয়া শেষে অনুমোদনের জন্য ২১০টি লটের বিপরীতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ২০৫ কোটি ৮৪ লাখ ৮৩ হাজার ৪১৬ টাকায় ১২ কোটি ২০ লাখ ৭৪ হাজার ৩৮০ টি বই মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ২০২১ শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক (বাংলা ভার্সন), স্তরের বিনামূল্যে বিতরণযোগ্য পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণে ১২ হাজার মেট্রিক টন মুদ্রন কাগজ এবং ১৩ হাজার মেট্রিক টন আর্ট কার্ড কেনার দরপ্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
১৪টি লটের বিপরীতে সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৯০ কোটি ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৭৫৮টাকায় ১২ হাজার মেট্রিক টন মুদ্রণ কাগজ এবং ১৩ হাজার মেট্রিক টন আর্ট কার্ড সংগ্রহের অনুমোদন দেওয়া হয় সভায়।