নদী তীরে স্থানান্তরযোগ্য স্কুল-কলেজ তৈরির নির্দেশ

ভাঙন প্রবণ নদীর কাছে সংকটকালে সরিয়ে নেওয়ার মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2020, 02:36 PM
Updated : 18 August 2020, 02:36 PM

এ বছর বর্ষা মওসুমে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে একের পর এক বহুতল স্কুল ভবন বিলীন হওয়ার প্রেক্ষাপটে এই নির্দেশনা দিলেন সরকার প্রধান।

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এই নির্দেশনা দেন বলে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান জানিয়েছেন।

গেল মাসের শেষ দিকে মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মায় বিলীন হয় তিনতলা এই স্কুল ভবন। এ রকম স্কুলভবন এবার আরও গেছে নদীর পেটে।

বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বৈঠকের এক পর্যায়ে বলেন, আমরা যে নদীর বুকে ঘর বাড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বানাই এ সময় কি আমরা চিন্তা করি কার কুলে, কোথায় বানাচ্ছি?

“এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুন্সীগঞ্জের লোকজন পদ্মা নদীর কিনারায় সরিয়ে নেওয়ার যোগ্য করে টিনের একতলা দোতলা করে খুব সুন্দর সুন্দর বাড়িঘর তৈরি করত। ভাঙন শুরু হলে তারা নিরাপদ জায়গায় বাড়ি-ঘর তুলে নিয়ে আরেক জায়গায় বসিয়ে দিতে পারত।”

সরকারি স্থাপনা তৈরির ক্ষেত্রেও ওই পদ্ধতি অনুসরণের নির্দেশনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনারা মডেল ডেভেলপ করেন এসব জায়গায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে হুমকির সম্মুখীন হলে যেন সরিয়ে নেওয়া যায়।”

এ বিষয়ে ‘শিগগিরই’ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হবে বলে জানান মন্ত্রী মান্নান।

বৈঠকে ‘রৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ’ এবং ‘খুলনা সড়ক জোনের আওতাধীন মহাসড়কে বিদ্যমান সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন কংক্রিট সেতু-বেইলি সেতুর স্থলে কংক্রিট সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প উপস্থাপনা করা হয়। দুই প্রকল্পে দুটি করে বাংলো তৈরির প্রস্তাব ছিল। প্রধানমন্ত্রী এই দুই প্রকল্প থেকে পৌনে ছয় কোটি টাকায় বাংলো বানানোর প্রস্তাব বাদ দেওয়ার পর সেগুলো অনুমোদন দেওয়া হয় বলে পরিকল্পনামন্ত্রী জানিয়েছেন।