রোহিঙ্গা শিবিরের সেবার মান বাড়ানোর প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে

মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের বিদ্যমান সেবার মান উন্নয়ন ও এই জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বাড়াতে ‘ইমারজেন্সি মাল্টি সেক্টর রোহিঙ্গা ক্রাইসিস রেসপন্স‘ শীর্ষক প্রকল্পটির ব্যয়ের সঙ্গে মেয়াদও আরও দুই বছর বাড়িয়েছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 August 2020, 12:03 PM
Updated : 18 August 2020, 12:03 PM

মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটির ব্যয় ও মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয় বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন। অন্যরা সভায় যুক্ত হন শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ থেকে।

একনেক বৈঠকের পর ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের প্রকল্পটি ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের অগাস্ট পর্যন্ত ছিল। এখন প্রকল্প সংশোধন করে মেয়াদ আরও প্রায় দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। প্রায় ৩৩৮ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের ব্যয় ৭৭ শতাংশ বাড়িয়ে ৫৯৯ কোটি টাকায় উন্নীত করা হয়েছে।

এই অতিরিক্ত অর্থ বিশ্ব ব্যাংক অনুদান হিসেবে সরবরাহ করবে বলে জানান মান্নান।

এই অতিরিক্ত অর্থ জোগানে বিশ্ব ব্যাংক আরও ৩ কোটি ডলার দেবে। এ বিষয়ে গত ২ এপ্রিল বিশ্ব ব্যাংক সরকারের কাছে সম্মতি পাঠিয়েছে বলে প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে।

এই প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য কক্সবাজার জেলার উখিয়া ও টেকনাফে বসবাসরত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মধ্যে বিশেষ করে নারী, অল্প বয়সী, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীদের কম্যুনিটি সেবা দেওয়ার মাধ্যমে সাড়ে ৫ লাখ শরণার্থীর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, বৈঠকে মোট ৩ হাজার ৪৬১ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয়ের সাতটি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ২ হাজার ৬১৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা জোগা দেওয়া হবে, বাকি ৮৪২ কোটি ১৮ লাখ টাকা বৈদেশিক সহায়তা থেকে আসবে।

প্রকল্পগুলো

>> ‘বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ‘ প্রকল্প। ব্যয় ৮৪৫ কোটি টাকা।

>> ‘দাউদকান্দি-গোয়ালমারী-শ্রীরায়েরচর (কুমিল্লা)-মতলব উত্তর (ছেঙ্গারচর) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ‘ প্রকল্প। ব্যয় ৫২৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।

>> ‘খুলনা সড়ক জোনের আওতাধীন মহাসড়কে বিদ্যমান সরু ও ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন কংক্রিট সেতু-বেইলী সেতুর স্থলে কংক্রিট সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প। ব্যয় ৫২৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

>> ‘তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গন হতে পটুয়াখালী জেলাধীন বাউফল উপজেলার ধুলিয়া লঞ্চঘাট হতে বরিশাল জেলাধীন বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা রক্ষা‘ প্রকল্প। ব্যয় ৭১২ কোটি ২১ লাখ টাকা।

>> ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ (২য় পর্যায়)‘ প্রকল্প। ব্যয় ৫৩১ কোটি টাকা।

>> ‘গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট‘ প্রকল্প। ব্যয় ৬১ কোটি টাকা।